চট্টগ্রামের ষোলশহর এলাকায় শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বাসভবনে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (৩ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে নগরীর চশমা হিলে শিক্ষামন্ত্রীর বাসায় হামলা চালানো হয়। এ সময় তার বাসভবনে থাকা কয়েকটি গাড়ি ও বিভিন্ন জিনিস ভাঙচুর করা হয়।
অপরদিকে একই ধরনের হামলা চালানো হয় সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর বাসভবনেও। এছাড়া, বিকেলে চট্টগ্রাম-১০ আসনের সংসদ সদস্য মহিউদ্দিন বাচ্চুর ওয়াসার মোড়ের নির্বাচনী কার্যালয়ে ভাঙচুর ও আগুন দেন দুর্বৃত্তরা।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার কাজী মো. তারেক আজিজ গণমাধ্যমকে হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
শাহাদাত হোসেন রাতে বলেন, নগরের বাদশা মিয়া সড়কের তাঁর বাসায় ছাত্রলীগ, যুবলীগের শতাধিক কর্মী এসে ভাঙচুর চালান। বাসার দরজা তাঁরা ভেঙে ফেলেন। ভাঙচুর করেন বাসার জিনিস। বাসায় তাঁর অসুস্থ মা রয়েছেন। ঘটনার সময় তিনি (শাহাদাত) বাসায় ছিলেন না। হামলাকারীরা বাসার নিচে পার্ক করা ১০–১২টি গাড়িও আগুনে পুড়িয়ে দেন। গাড়িগুলো ভবনের অ্যাপার্টমেন্টে থাকা চিকিৎসক, শিক্ষকসহ বিভিন্ন পেশার লোকজনের। আগুনে অ্যাপার্টমেন্টে থাকা লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। শাহাদাত হোসেন আরও বলেন, ‘আমি কিছুর মধ্যে ছিলাম না। আমার বাসায় কেন হামলা করল, বুঝলাম না।’
নগরের চশমা হিলে এ ঘটনা ঘটে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিল থেকে এ হামলা হয় বলে অভিযোগ। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেন ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। হামলার সময় মন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বাড়িতে ছিলেন না। তবে পরিবারের সদস্যরা বাসায় ছিলেন।