যশোরের শার্শা ও বেনাপোল সীমান্ত পথ দিয়ে ভারতে চামড়া পাচার ঠেকাতে সতর্কতা জারি করেছে ৪৯ ও ২১ বিজিবি ব্যাটালিয়ন। এরই মধ্যে সীমান্তের অনেক স্পর্শকাতর পয়েন্টে বাড়ানো হয়েছে বিজিবির নজরদারি ও লোকবল। বন্দর এলাকাসহ স্থল ও রেলপথে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। বিজিবির পাশাপাশি সতর্ক রয়েছে পুলিশ।
ব্যবসায়ীরা জানান, ভারতের চেয়ে বাংলাদেশের পশুর চামড়ার গুণগত মান উন্নত। তাই ভারতে এদেশের চামড়ার দাম এবং চাহিদা দুটোই বেশি। এ কারণে বেশি লাভের আশায় অনেক ব্যবসায়ীদের মধ্যে সীমান্ত পথে চামড়া পাচারের প্রবণতা থাকে।
তারা জানান, বিগতদিনে এই দুটি সীমান্তে কোরবানির পশুর চামড়া ভারতে পাচারকালে আটকের ঘটনাও ঘটেছে বহুবার। চোরাকারবারিরা সাধারণত পণ্য আনা নেওয়ায় জন্য বেনাপোলের পুটখালী, গোগা, কায়বা, অগ্রভুলোট, রুদ্রপুর, দৌলতপুর, গাতিপাড়া, ঘিবা, সাদিপুর, বড় আঁচড়া, কাশিপুর ধাণ্যখোলা ও রঘুনাথপুর সীমান্ত পথ ব্যবহার করে থাকে।
যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আহমেদ হাসান জামিল বলেন, কোরবানি ঈদে চামড়া পাচাররোধে এবার সীমান্তে বিশেষ বিশেষ পয়েন্টগুলো চিহ্নিত করে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া শহর থেকে যাতে চামড়া সহজেই সীমান্তে পৌঁছাতে না পারে সে জন্য বিজিবি চেকপয়েন্টগুলোতে নজরদারি জোরদার করা করেছে। একই সঙ্গে বিজিবির নিজস্ব গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে।