শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫
শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫

ছাত্রকে নির্যাতনের ঘটনায় ‘প্রলয় গ্যাংয়ের’ বিরুদ্ধে থানায় মায়ের অভিযোগ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রকে পেটানোর ঘটনায় ‘প্রলয় গ্যাংয়ের’ বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছেন ওই ছাত্রের মা। তিনি বলেছেন, তাঁর ছেলে জোবায়েরকে হত্যার উদ্দেশ্যে স্টাম্প, রড, বেল্ট ও লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে অভিযুক্তরা। এতে মাথা ও চোখে গুরুতর জখম হয় সে। ছিঁড়ে যায় ডান পায়ের লিগামেন্ট।

শনিবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জসীমউদ্‌দীন হলের সামনে ওই ছাত্রকে পেটান তাঁর একদল সহপাঠী। তাঁরা ‘প্রলয়’ নামে ক্যাম্পাসভিত্তিক একটি গ্যাংয়ের সদস্য। মারধরের ঘটনায় মায়ের করা অভিযোগ পুলিশ গ্রহণ করেছে। এটি এখন আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

রোববার রাতে রাজধানীর শাহবাগ থানায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯ ছাত্রের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয়ের আরও ৬-৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলার অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী জোবায়ের ইবনে হুমায়ুনের মা সাদিয়া আফরোজ খান।

জোবায়ের স্যার এ এফ রহমান হলের ছাত্র ও অপরাধবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষে পড়েন। অভিযুক্ত ছাত্ররাও একই বর্ষের।

গ্যাং তৈরি করে দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নানা অপকর্ম করে বেড়াচ্ছেন কিছু শিক্ষার্থী। নিয়মিত মাদক সেবন, ছিনতাই-চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্মে জড়িত এ গ্যাংয়ের সদস্যরা। জোবায়েরকে মারধরের ঘটনার পর ‘প্রলয়’ গ্যাংয়ের সদস্যদের পরিচয় সামনে এসেছে।

লিখিত অভিযোগে মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের ছাত্র তবারক মিয়াকে এক নম্বর আসামি করা হয়েছে। নাম উল্লেখ করে আরও যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে, তাঁরা হলেন একই হলের ছাত্র সিফাত সাহিল, ফয়সাল আহম্মেদ ওরফে সাকিব, মো. সোভন ও সৈয়দ নাসিফ ইমতিয়াজ ওরফে সাইদ, সূর্য সেন হলের ফারহান লাবিব, মুহসীন হলের অর্ণব খান ও আবু রায়হান, কবি জসীমউদ্‌দীন হলের নাঈমুর রহমান ওরফে দুর্জয়, সাদ, রহমান জিয়া, মোশারফ হোসেন, জহুরুল হক হলের হেদায়েত নূর, মাহিন মনোয়ার, সাদমান তাওহিদ ওরফে বর্ষণ ও আবদুল্লাহ আল আরিফ, জগন্নাথ হলের প্রত্যয় সাহা ও জয় বিশ্বাস এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ফেরদৌস আলম ওরফে ইমন।

মা আরও উল্লেখ করেন, মারধরের সময় জোবায়েরের বন্ধুরা তাঁকে রক্ষা করতে গেলে তাঁদেরও এলোপাতাড়ি পেটান অভিযুক্ত ব্যক্তিরা। প্রাণনাশের হুমকিসহ দেখানো হয় ভয়ভীতি। মারধরে জোবায়ের চেতনা হারিয়ে ফেললে অভিযুক্তরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। পরে জোবায়েরকে তাঁর বন্ধুরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।

এ বিষয়ে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর মোহাম্মদ বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি আইনগত প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে।’

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, ‘এই ঘটনার বিষয়টি স্যার এ এফ রহমান হল কর্তৃপক্ষকে খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে।’

Facebook
X
WhatsApp
Email
Telegram
সর্বশেষ
ফেসবুক নেটওয়ার্ক ও পার্টনার পেজ
সর্বশেষ সংবাদ জানতে—এখনই সাবস্ক্রাইব করুন!
শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫
কপিরাইট © 2025 সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত — লন্ডন মিরর।
সম্পাদক: হাসিনা আক্তার
সার্চ করুন
লগইন/সাইন আপ
সর্বশেষ সংবাদ জানতে—এখনই সাবস্ক্রাইব করুন!