রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রসমাবেশের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। আজ (১ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টায় এ সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। এ উপলক্ষে সারাদেশ থেকে আসা ছাত্ররা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জড়ো হচ্ছেন।
ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেছেন, ষড়যন্ত্রকারীরা ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছে, গণতন্ত্র নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, গণতন্ত্রের পথ খোলা রেখে তারুণ্যের মাধ্যমে আধুনিক, স্মার্ট বাংলাদেশের পক্ষে রয়েছি। ছাত্রলীগের ৫ লাখ কর্মী ছাড়াও কয়েক লাখ সাধারণ শিক্ষার্থী সমাবেশে অংশ নেবেন।
সমাবেশ উপলক্ষে সকাল থেকেই শাহবাগ, টিএসসি (শিক্ষক-ছাত্র কেন্দ্র), দোয়েল চত্বর এলাকাসহ পুরো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন ধরনের ফেস্টুন, ব্যানার নিয়ে সমাবেশে এসেছেন তারা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পরিবারের সদস্যদের ছবি শোভা পাচ্ছে নেতাকর্মীদের হাতে হাতে। অনেকেই সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন নেতা ও জেলার নামাঙ্কিত টি-শার্ট ও ক্যাপ পরিধান করে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আশপাশের এলাকা যেন উৎসবস্থলের রূপ নিয়েছে।
এর আগে ২০২০ সালে সংগঠনের সম্মেলন উপলক্ষে ছাত্রসমাবেশ করেছিল ছাত্রলীগ। সেই সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পেয়েছিলেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এর পর আর বড় ধরনের সমাবেশ করার সুযোগ হয়ে ওঠেনি সংগঠনটির। এবার জাতীয় নির্বাচনের ঠিক চার মাস আগে বড় ধরনের ছাত্রসমাবেশে নেতাকর্মীরা যেমন উজ্জীবিত, তেমনি বিরোধী রাজনৈতিক দলকে একটি বার্তা দেওয়ার কথা বলছেন সংগঠনের দায়িত্বশীল নেতারা।
ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান বলেছেন, আগামী নির্বাচনে নৌকার কোনো বিকল্প নেই। ছাত্রসমাজ আজ ঐক্যবদ্ধ। ছাত্রসমাবেশে লাখো ছাত্রের উপস্থিতির মধ্যে দিয়ে সারা বিশ্বে একটি বার্তা পৌঁছে দেবো—তরুণসমাজ জাতির পিতার কন্যার সঙ্গে ছিল, জাতির পিতার কন্যার সঙ্গে আছে। ছাত্রলীগের এই সমাবেশের মাধ্যমে লাখো তরুণকে সঙ্গে নিয়ে শপথ নিতে চাই, এ দেশের অপশক্তি ও অপতৎপরতাকে রুখে দিতে তরুণসমাজ প্রস্তুত আছে।