কোটা আন্দোলনে সহিংসতায় নিহতদের হত্যার বিচার, কারফিউ প্রত্যাহার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবিতে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের মশাল মিছিলে লাঠিচার্জের অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। এ সময় ছাত্র ইউনিয়ন সভাপতি মাহির শাহরিয়ার রেজাসহ ২০ জনকে আটক করা হয়েছে বলেও অভিযোগ তোলা হয়েছে।
বুধবার (৩১ জুলাই) রাত সাড়ে ৯টায় তাদের আটক করে পুলিশ। ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে এ অভিযোগ করা হয়েছে।
রাতে ছাত্র ইউনিয়নের মশাল মিছিল পল্টন থেকে জিরো পয়েন্ট মোড় হয়ে বিজয়নগর পানির ট্যাংকের সামনে এলে তাদের ওপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ৷ এ সময় ছাত্র ইউনিয়ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক শোয়াইব আহমেদ আসিফকে গ্রেপ্তার করে পল্টন থানা পুলিশ।
পরে বাকিদের সেগুনবাগিচায় ২০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কার্যালয়ে আটকে রাখেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ কর্মীরা। পরে ছাত্র ইউনিয়ন সভাপতি মাহির শাহরিয়ার রেজা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের যুগ্ম-আহ্বায়ক এনামুল হাসান অনয়, ঢাকা মহানগর সংসদের সহকারী সাধারণ সম্পাদক আরমান হোসেনসহ অন্যান্যদের আটক করে রমনা থানা পুলিশ।
পুলিশি হামলা এবং আটকের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন শুভ। আটকদের দ্রুত মুক্তি না দিলে চলমান আন্দোলন সরকার পতনের আন্দোলনে রূপ নেবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।