জনগণের কাছে না গিয়ে ক্ষমতায় আসার জন্য বিএনপি বিদেশি দূতাবাসগুলোতে ধরনা দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
শনিবার এক বিবৃতিতে এ মন্তব্য করেন তিনি। বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি নেতাদের ‘রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি এখন আত্মদহনে দগ্ধ । ভুল রাজনীতির খেসারত দিচ্ছে তারা । স্বাধীন দেশের রাজনৈতিক দল হয়েও মনোজগতে তারা এখনও পরাধীনতায় বিশ্বাসী । পাকিস্তানি ভূত তাদের মাথা থেকে যায়নি।
‘তারা জনগণের কাছে না গিয়ে বিদেশী দূতাবাসে ধরনা দিচ্ছে, দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করছে। যাদের জন্ম এবং বিকাশ ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে তারা সে বৃত্ত থেকে বের হয়ে আসতে পারবে না। এটাই সত্যি।’
তিনি বলেন, কিন্তু বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণের জন্য রাজনীতি করে। জনগণের পাশে আছে, জনগণের পাশেই থাকবে ।
বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, এ দেশে জিয়া পরিবারের গল্প মানুষ জানে। ভাঙ্গা স্যুটকেসের গালভরা গল্প মানুষ ভুলে যায়নি। ভাঙ্গা স্যুটকেস থেকে বিলাসবহুল জাহাজ বেরিয়ে আসতেও দেখেছে জনগণ । বিএনপি শাসনামলে তারেক জিয়ার নেতৃত্বে দুর্নীতি ও অর্থ পাচার প্রাতিষ্ঠানিক রুপ পেয়েছিল। বিদেশে পাচারকৃত জিয়া পরিবারের অর্থের কিছু অংশ দেশে ফেরতও আনা হয়েছে।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, দেশরত্ন শেখ হাসিনা মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন।’বিএনপিই দেশের মানুষের ভোটের অধিকার হরণ করেছে। প্রকাশ্যে ভোট ডাকাতির মাধ্যমে গণতন্ত্র এবং ভোটাধিকার হরণে বিএনপি রেকর্ড সৃষ্টি করেছে।
‘যারা দেশকে ভঙ্গুর এবং পরনির্ভরশীল করে রেখে গিয়েছিল, তারা আজ দেশের অর্থনৈতিক অর্জন নিয়ে সমালোচনা করে! তারা প্রতিনিয়ত মিথ্যাচারের ফানুস উড়াচ্ছে। এদেশের অর্থনীতিকে আজ শক্তিশালী কাঠামোর উপর দাঁড় করিয়েছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা।’
বাংলাদেশ আজ বিশ্বে অর্থনৈতিকভাবে এক উদীয়মান শক্তি- এ মন্তব্য করে তিনি বলেন, দেশের এই অর্জন-সমৃদ্ধি তারা কখনও মেনে নিতে পারেনা । বিএনপি রাজনীতি হচ্ছে পরশ্রীকাতরতায় পূর্ণ।
বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বেগম জিয়াকে সরকার আটক করে রাখেনি। তিনি আদালতের রায়ে শান্তি ভোগ করছেন। বরং জননেত্রী শেখ হাসিনা উদারতার পরিচয় দিয়ে নির্বাহী আদেশে তার শাস্তি স্থগিত রেখেছেন এবং তাকে বাসায় অবস্থানের সুযোগ করে দিয়েছেন। দেশরত্ন শেখ হাসিনার এ বদান্যতার প্রতি তারা কৃতজ্ঞ থাকা উচিত ছিল।