সরকার অতীতের মত জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করে ক্ষমতায় দখল করতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, সুষ্ঠু অবাধ, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায় বিদেশীরা। জনগণ ভোট দিতে পারলে আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।
শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে তিনি এমন মন্তব্য করেন। ন্যাশনাল পিপলস পার্টির ১৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও সমসাময়িক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট শীর্ষক এই সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন মির্জা ফখরুল।
এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল বলেন, জাতি চরম রাজনৈতিক সংকটের মধ্যে আছে। রাষ্ট্রীয় যন্ত্রকে ব্যবহার করে ক্ষমতায় টিকে আছে আওয়ামী লীগ সরকার।
তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায়ে আওয়ামী লীগ হরতাল গাড়িতে নাশকতা পর্যন্ত করেছে। আওয়ামী লীগ অবলীলায় মিথ্যা কথা বলে। আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচনে গেলে ভোট দিতে পারবে না। আইন মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি দেয়া হচ্ছে দুইমাসের মধ্যে বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা সাজা সম্পন্ন করতে।
‘রাষ্টযন্ত্র, প্রশাসন, বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে বিরোধী দলকে নির্বাচনের বাহিরে রেখে আগের মতো আরেকটি নির্বাচন করতে চায় সরকার। আওয়ামী লীগ শুরু থেকে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে। আওয়ামী লীগের সঙ্গে সমঝোতা করে কোন লাভ নেই।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের সমালোচনা করে ফখরুল বলেন, সড়কে নৈরাজ্য চলছে, অনেকে প্রাণ হারাচ্ছে। কিভাবে বিরোধী দলকে আটকে রাখা যায়, নির্বাচন থেকে বাদ দেয়া যায়। এবার মানুষ বেরিয়ে আসছে, রুখে দাঁড়িয়েছে। নির্বাচন ছাড়া গণতন্ত্র টিকবে না।
তিনি বলেন, নির্বাচন হতে হবে অবশ্যই নির্দলীয় নিরপেক্ষ নির্বাচন। আওয়ামী লীগ সরকার সাংবিধানিকভাবে অবৈধ। আওয়ামী লীগ গণশত্রুতে পরিণত হয়েছে। তাদের কাজ মানুষকে শোষণ করা।
বিএনপির সংগ্রাম চলমান থাকবে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সিটি কর্পোরেশন ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছে। আওয়ামী লীগের বডি ক্যামেস্ট্রিতে গণতন্ত্র নেই, আছে শুধু সন্ত্রাস আর চুরি। মানুষ আওয়ামী লীগকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। রাস্তায় নেমে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা হবে।