বুধবার , ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. London Mirror Specials
  2. অন্যান্য
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. খুলনা
  6. খেলা
  7. চট্রগ্রাম
  8. জেলার খবর
  9. ঢাকা
  10. তথ্য-প্রযুক্তি
  11. প্রবাসের কথা
  12. বরিশাল
  13. বাংলাদেশ
  14. বিনোদন
  15. ব্যাবসা-বাণিজ্য

জামাতুল আনসারের সেই ৩২ সদস্যের জামিন বাতিল

প্রতিবেদক
Newsdesk
সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৪ ১১:১৫ অপরাহ্ণ

নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার সদস্য ও সহযোগী হিসেবে গ্রেপ্তার হওয়া ৩২ জনের জামিনের আদেশ বাতিল করা হয়েছে।

বান্দরবান জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. মোসলেহ উদ্দিন এই জামিন আদেশ বাতিল করেছেন। একদিন আগেই তাদের জামিন দেওয়া হয়েছিলো।

বুধবার বিকেলে বান্দরবান জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ইকবাল করিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মঙ্গলবার বিকেলে বান্দরবান জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. মোসলেহ উদ্দিন আসামিপক্ষের আইনজীবীদের জামিনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দীর্ঘ শুনানি শেষে ৩২ জন আসামিকে চারটি মামলায় জামিন দেন।

আদালত সূত্র জানায়, জামিননামা পর্যালোচনায় দেখা যায়, প্রত্যেক আসামির জামিনদার একই ব্যক্তি বান্দরবান সদরের বাসিন্দা মো. খলিলের ছেলে ইমান হোসেন। এ কারণে জামিন বাতিলের আদেশ দেওয়া হয়।

জামিননামা বাতিলের আদেশে বলা হয়, আসামিরা বিভিন্ন জেলার হলেও তাদের এলাকার কোনো জামিনদার নেই। এ ছাড়া কোনো আসামির বাড়ি বান্দরবান জেলায় নয় অথচ জামিনদার এখানকার এবং একই ব্যক্তি। জামিনের শর্ত অনুযায়ী আসামিদের স্ব স্ব এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিকে জামিনদার হিসেবে প্রদান না করায় এবং এ কারণে জামিনের শর্ত লঙ্ঘিত হওয়ায় জামিননামা বাতিলের আদেশ দেওয়া হলো।

পাহাড়ে নতুন গজিয়ে ওঠা সশস্ত্র সংগঠন কুকিচিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট কেএনএফ’র আস্তানায় প্রশিক্ষণ নেওয়া ও জঙ্গি তৎপরতা চালানোর অভিযোগে গত বছর তাদের বান্দরবানের বিভিন্ন জায়গা থেকে আটক করেছিলো র‍্যাব ও পুলিশের গোয়েন্দা শাখার সদস্যরা।

মোট চারটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো ৩২ জনকে মঙ্গলবার জামিন দেওয়া হয়। এর মধ্যে বান্দরবানের থানচি থেকে ২১, রুমা থেকে চার, নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে দুই ও বান্দরবান সদর থেকে পাঁচ জনকে সে সময় গ্রেপ্তার করা হয়েছিলো। তাদের বিরুদ্ধে কুকিচিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট কেএনএফের আস্তানায় প্রশিক্ষণ নেওয়া ও বিভিন্ন জায়গায় জঙ্গি তৎপরতা চালানোর অভিযোগ আনা হয়েছিলো। কেএনএফের সন্ত্রাসী তৎপরতা দমনে পাহাড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযান শুরু হলে সে সময় র‍্যাব অভিযান চালিয়ে এদের বিভিন্ন জায়গা থেকে গ্রেপ্তার করে।

এর মধ্যে সংগঠনটির প্রশিক্ষক ও অর্থ শাখার গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিও ছিলেন বলে সে সময় র‍্যাব গণমাধ্যমকে জানায়। জামিন পাওয়া সদস্যরা হলেন- ‌সি‌লে‌টের মাকসুদুর রহমান, কু‌মিল্লার সালেহ আহমদ, সি‌লে‌টের সা‌দেকুর রহমান, কু‌মিল্লার বা‌য়ে‌জিদ ইসলাম, নোয়াখা‌লীর নিজাম উদ্দিন হিরন, মাদারীপু‌রের আবুল বাশার মৃধা, কু‌মিল্লার ইমরান হো‌সেন, নারায়ণগ‌ঞ্জের আল আমিন সর্দার, কু‌মিল্লার দিদার হো‌সেন, সি‌লে‌টের তা‌হিয়াত চৌধুরী, ঝালকা‌ঠির হা‌বিবুর রহমান, কু‌মিল্লার সাখাওয়াত হো‌সেন, পটুয়াখালীর মিরাজ সিকদার, পটুয়াখালীর আল আমিন ফ‌কির, ব‌রিশা‌লের আবদুস সালাম, পটুয়াখালীর ওবাইদুল্লাহ হক, ব‌রিশা‌লের মাহামুদ ডাকুয়া, পটুয়াখালীর জু‌য়েল মুস‌ল্লি, পটুয়াখালীর শামীম, মু‌ন্সীগ‌ঞ্জের রিয়াজ শেখ, বরগুনার সো‌হেল মোল্লা, টাঙ্গাইলের ইলিয়াছ রহমান, কু‌মিল্লার জ‌হিরুল ইসলাম, চট্টগ্রা‌মের আবু হোরায়রা, কু‌মিল্লার দিদার হো‌সেন মাসুম, চট্টগ্রা‌মের ইমরান হো‌সেন, কু‌মিল্লার আহাদুল ইসলাম মজুমদার, কু‌মিল্লার আনিছুর রহমান, গাইবান্ধার শামীন মাহফুজ, কু‌মিল্লার আসসা‌মী রহমান।

আসামিপক্ষের আইনজীবী আলমগীর চৌধুরীর মঙ্গলবার দাবি করেন, বিনা অপরাধে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে এদের আটক করে জঙ্গি সম্পৃক্ততার অভিযোগ এনে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তারা বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলো। তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার তাদেরকে হয়রানি করার উদ্দেশে আটক করে জঙ্গির তকমা লাগায়। তাদের বিরুদ্ধে জঙ্গি সম্পৃক্ততার কোনো অভিযোগ না পাওয়ায় আদালত তাদের জামিন দিয়েছে।

কুমিল্লা ও ঢাকার সাত কলেজছাত্র ২০২২ সালের ২৩ আগস্ট বাসা থেকে বেরিয়ে আর না ফেরায় থানায় জিডি করেছিলো তাদের পরিবার। পরে জানা যায়, নিরুদ্দেশ ওই তরুণদের কয়েকজনকে শেষবার দেখা গিয়েছিলো চাঁদপুরে।

অক্টোবরের শুরুতে কয়েকজনকে উদ্ধার করে র‌্যাব জানায়, ওই তরুণরা নতুন এক জঙ্গি সংগঠনে যুক্ত হয়ে সশস্ত্র সংগ্রামের জন্য ঘর ছেড়েছিলেন।

ওই সময় জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার নাম প্রথমবার সামনে আসে। জঙ্গি সংগঠনটি নিয়ে এরপর নানা ধরনের তথ্য দেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

র‌্যাব সে সময় বলেছিলো, হরকাতুল জিহাদ, জেএমবি এবং আনসার আল ইসলামের বেশ কিছু সদস্য ২০১৭ সালে নতুন এই উগ্রবাদী সংগঠনের কার্যক্রম শুরু করে। পরে ২০১৯ সালে ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’ নামে কার্যক্রম পরিচালনা করতে থাকে।

এদিকে কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট বা কেএনএফ নামে পাহাড়ের একটি সশস্ত্র দলের তৎপরতার কথা ২০২২ সালেই আলোচনায় আসে। ‘বম পার্টি’ নামে পরিচিত সংগঠনটি জামাতুল আনসারকে পৃষ্ঠপোষকতা করছিলো বলে জানায় র‌্যাব। পাহাড়ে তাদের প্রশিক্ষণও চলছে।

গত বছরের আগস্ট মাসে এই জঙ্গি দলটিকে নিষিদ্ধ করে তখনকার সরকার।

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক