বুধবার , ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | ৪ঠা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. London Mirror Specials
  2. অন্যান্য
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. খুলনা
  6. খেলা
  7. চট্রগ্রাম
  8. জেলার খবর
  9. ঢাকা
  10. তথ্য-প্রযুক্তি
  11. প্রবাসের কথা
  12. বরিশাল
  13. বাংলাদেশ
  14. বিনোদন
  15. ব্যাবসা-বাণিজ্য

জামাতের সাথে বিএনপির সুসম্পর্ক না দুঃসম্পর্ক!

প্রতিবেদক
Newsdesk
ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৩ ১১:১৪ পূর্বাহ্ণ

জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে এ মুহূর্তে ঘনিষ্ঠতা বাড়াতে চাইছে না বিএনপি। আবার জামায়াত যাতে সরকারের দিকে ঝুঁকে না যায়, সেদিকও দলটি নজরে রাখছে। বিএনপির উচ্চপর্যায়ের একাধিক দায়িত্বশীল নেতার সঙ্গে কথা বলে জামায়াতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে দলের এমন কৌশলের কথা জানা গেছে। তবে চূড়ান্ত আন্দোলনের আগেই বিএনপি আবার জামায়াতের সঙ্গে দূরত্ব কমিয়ে আনার উদ্যোগ নিতে পারে।

বিএনপির দায়িত্বশীল নেতারা বলছেন, রাজনৈতিক নানা হিসাব-নিকাশ বা কৌশল থেকে তাঁরা জামায়াতের সঙ্গে কিছুটা দূরত্ব বজায় রেখে চলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কারণ, দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতাদের অনেকে মনে করেন, পরপর দুটি জাতীয় নির্বাচন ঘিরে বিএনপি ও জামায়াতের জোটবদ্ধ আন্দোলন এবং নির্বাচন নিষ্ফল হয়েছে।

উপরন্তু সরকারি দলের বিরূপ প্রচারে ‘বিএনপি-জামায়াত’ জোট নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে একটি নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি হয়েছে। এর দায় পড়ছে বিএনপির ওপর। এ পরিস্থিতি এড়াতেই জামায়াতকে একটু দূরে রেখেই অন্য মিত্রদের নিয়ে আন্দোলনে নেমেছে বিএনপি। তবে আন্দোলন চূড়ান্ত পর্যায়ে যাওয়ার আগেই অবস্থা বুঝে জামায়াতের সঙ্গে বিএনপি আবার যোগাযোগ করতে পারে।

‘জনগণ সরকারের পরিবর্তন চায়। জনগণের মধ্যে এখন যে ক্ষোভের ঐক্য দেখা যাচ্ছে, তাতে এই সময়ে প্রয়োজন রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্য। এটা যদি কেউ পূরণ না করে, সেই দায়দায়িত্ব ওই দলের। কারণ, সরকারের টার্গেট একটাই, আন্দোলন যেন সুদৃঢ় রূপ না পায়।’

আবদুল হালিম, জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল

 

কার্যত ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনের পর থেকেই জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্ক শিথিল। এখন তা অনেকটাই বিচ্ছিন্ন। গত ২৪ ডিসেম্বর থেকে বিএনপির নেতৃত্বে বিরোধী দলগুলোর যে যুগপৎ আন্দোলন কর্মসূচি চলছে, তাতে শুরুর দিকের দুটি কর্মসূচিতে জামায়াতের অংশগ্রহণ ছিল। এরপর আর কোনো কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছে না জামায়াত। এ পর্যন্ত ছয়টি যুগপৎ কর্মসূচি হয়। সপ্তম কর্মসূচি হিসেবে ১৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় এবং ১৮ ফেব্রুয়ারি অন্য ১১টি মহানগরে যুগপৎ পদযাত্রা কর্মসূচি হয়েছে। এ কর্মসূচিতেও জামায়াত অংশ নেয়নি।

‘মতাদর্শ ভিন্ন থাকলেও একটি জায়গায় আমরা একমত যে এই সরকারের অধীন নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে না। ওনাদের তো এই আন্দোলন করা উচিত এবং করছেনও। এখানে কথা বলাটা জরুরি না। মাঠে থাকলে যোগাযোগ তো একভাবে না একভাবে হবেই। আজ নাহয় কাল হবে।’

আবদুল আউয়াল মিন্টু, জামায়াত দলের ভাইস চেয়ারম্যান ও লিয়াজোঁ কমিটির সদস্য

 

জামায়াতের ‘অভিমান’

বিএনপির সঙ্গে সম্পর্কের প্রশ্নে ১৪ ফেব্রুয়ারি কথা হয় জামায়াতের ঢাকা মহানগরী কমিটির দুটি অংশের একটির সেক্রেটারির সঙ্গে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই নেতা ক্ষোভের সঙ্গেই বলেন, ‘এত দিন বিএনপি বলেছে, আন্দোলন রোজার পরে, ঈদের পরে, কোরবানির পরে। এখন তারা কর্মসূচি নিচ্ছে, কিন্তু জামায়াত নেই। অথচ জামায়াত ঐক্য চায়।’

জামায়াতের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, যুগপৎ আন্দোলনের দুই কর্মসূচির পর হঠাৎ জামায়াতের এ অনুপস্থিতি বিএনপির নেতৃত্বের ওপর ‘ক্ষোভ’ বা ‘অভিমান’ থেকে। কারণ, সরকারবিরোধী যুগপৎ আন্দোলনের যাত্রা বা কর্মসূচির বিষয়ে বিএনপি অন্য সব দলের সঙ্গে আলোচনা-পরামর্শ করলেও জামায়াতের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ নেই। এরপরও অনেকটা গায়ে পড়ে বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়ে গত ২৪ ও ৩০ ডিসেম্বর গণমিছিলে অংশ নেয় জামায়াত। এর মধ্যে ৩০ ডিসেম্বর ঢাকায় গণমিছিল করতে গিয়ে মালিবাগে পুলিশের কাঁদানে গ্যাসের শেল ও লাঠিপেটার শিকার হন নেতা-কর্মীরা। এতে অনেকে আহত হন, অনেককে গ্রেপ্তারও করা হয়। কিন্তু এ ঘটনায় বিএনপি কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

 

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক