দুর্নীতি ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট এমারসন নানগাগওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সেইসঙ্গে জিম্বাবুয়ের আরও ১০ ব্যক্তি এবং তিনটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (০৫ মার্চ) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
নিষেধাজ্ঞা প্রাপ্তদের মধ্যে ফার্স্ট লেডি অক্সিলিয়া নানগাগওয়ার, ভাইস প্রেসিডেন্ট কনস্টান্টিনো চিওয়েঙ্গা এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওপাহ মুচিঙ্গুরিও আছেন। এছাড়া প্রেসিডেন্ট নানগাগওয়ার উপদেষ্টা কুদাকওয়াশে ট্যাগওয়াইরি, তার স্ত্রী এবং তাদের দুইটি ব্যবসার ওপরও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
এছাড়া জিম্বাবুয়ের জাতীয় পুলিশ এবং সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স অর্গানাইজেশন (সিআইও) এর সদস্যসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন নিরাপত্তা কর্মকর্তাদেরও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। দেশটির বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা রাষ্ট্রীয় দুর্নীতিতে সহায়তা করেছেন বলেও খবর পাওয়া গেছে।
হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, জিম্বাবুয়েতে আমরা রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং মানবাধিকারের চরম অপব্যবহার দেখেছি। সুশীল সমাজকে টার্গেট, রাজনৈতিক কার্যকলাপের ওপর কঠোর বিধিনিষেধ, মৌলিক স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্নসহ সরকারি নেতা এবং প্রধান কুশিরব তাদের ব্যক্তিগত লাভের জন্য জনসম্পদ লুণ্ঠন করেছেন।
এমন কার্যকলাপ ঘুষ, চোরাচালান এবং অর্থ পাচারের বিশ্বব্যাপী অপরাধমূলক নেটওয়ার্ককে সমর্থন করে। সেই সঙ্গে জিম্বাবুয়ে, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং বিশ্বের অন্যান্য অংশের সম্প্রদায়গুলোকে দরিদ্র করে তোলার জন্য দায়ী বলে মনে করে হোয়াইট হাউস।
এদিকে গণমাধ্যমে জানানো হয়, এই নিষেধাজ্ঞা জিম্বাবুয়ের শীর্ষ নেতাদের ওপর প্রভাব ফেলবে। এর ফলে তাদের যুক্তরাষ্ট্রে থাকা সম্পদ আটকে যাবে এবং বেসরকারি উদ্যোগে বা ব্যক্তিগতভাবে সেখানে ভ্রমণ করা যাবে না। নতুন এই নিষেধাজ্ঞা একটি বিস্তৃত প্রোগ্রামের স্থলাভিষিক্ত হবে যেটি দুই দশক আগে চালু হয়েছিল।