কর্মীদের চাকরি ছাড়ার হিড়িকের মধ্যেই টুইটারের সব কার্যালয় বন্ধ করার কথা জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই সিদ্ধান্ত সাময়িক। তবে এমন পদক্ষেপ নেওয়ার কারণ সম্পর্কে কিছুই জানায়নি টুইটার কর্তৃপক্ষ।
বৃটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
কর্মীদের কাছে পাঠানো এক বার্তায় টুইটার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগামী ২১ নভেম্বর পুনরায় অফিস খুলে দেওয়া হবে। এর আগ পর্যন্ত সবার অফিস ব্যাজ অকার্যকর থাকবে। অর্থাৎ, তারা অফিসে বা টুইটারের ইন্টারনাল নেটওয়ার্ক সিস্টেমে প্রবেশের সুযোগ পাবেন না।
বৃহস্পতিবার টুইটার কর্মীদের পাঠানো বার্তায় প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তাদের সব অফিস ভবন বন্ধের এই সিদ্ধান্ত তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হবে।
টুইটারের পাঠানো ওই ক্ষুদে বার্তায় আরও বলা হয়, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, গণমাধ্যম বা অন্য কোথাও কোম্পানির তথ্য নিয়ে আলোচনা করা থেকে বিরত থাকুন এবং কোম্পানির নীতি মেনে চলুন।’
অফিস বন্ধ রাখার কোনো কারণ কর্মীদের পাঠানো ওই বার্তায় বলা হয়নি। তবে এমন এক সময় ওই বার্তা পাঠানো হয়েছে, যখন কর্মীদের একটি বড় অংশ চাকরি ছেড়ে দিচ্ছেন বলে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে খবর আসছে।
প্রসঙ্গত, গত ২৭ অক্টোবর চার হাজার ৪০০ কোটি ডলারে টুইটার কেনেন টেসলার ও স্পেস এক্সের প্রধান নির্বাহী ও বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক। মালিকানা নেওয়ার পর এর ওপর নিজের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। কোম্পানির শীর্ষ নির্বাহীদের বরখাস্ত করার পাশাপাশি অর্ধেক কর্মীকে ইতোমধ্যে তিনি ছাঁটাই করেছেন।