মঙ্গলবার , ২ আগস্ট ২০২২ | ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. London Mirror Specials
  2. অন্যান্য
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. খুলনা
  6. খেলা
  7. চট্রগ্রাম
  8. জেলার খবর
  9. ঢাকা
  10. তথ্য-প্রযুক্তি
  11. প্রবাসের কথা
  12. বরিশাল
  13. বাংলাদেশ
  14. বিনোদন
  15. ব্যাবসা-বাণিজ্য

ট্রেন চলে সোজা, ধাক্কা লাগলে দায় কেন নিতে হবে: রেলমন্ত্রী

প্রতিবেদক
Newsdesk
আগস্ট ২, ২০২২ ২:৫০ অপরাহ্ণ

সম্প্রতি চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে রেল ক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় ১১ জন মাইক্রোবাসযাত্রী নিহত হওয়ার ঘটনার দায় নিয়ে প্রশ্ন উঠার প্রেক্ষিতে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, রেল (ট্রেন) তো চলে সোজা। কারো সঙ্গে ধাক্কা লাগার কথা নয়। তারপরও কেউ রেলের ওপর এসে পড়বেন, দুর্ঘটনা ঘটবে- তার দায় কেন রেল কর্তৃপক্ষকে নিতে হবে?

মঙ্গলবার মাগুরায় রেলস্টেশন ভবন নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

দুপুরে মাগুরায় সদর উপজেলার কছুন্দি ইউনিয়নের ঠাকুরবাড়ি এলাকায় রেলস্টেশন ভবন নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করেন রেলমন্ত্রী। এ উপলক্ষে সেখানে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘আইন অনুসারে রেললাইনের আশেপাশে ১৪৪ ধারা জারি থাকে। সেখানে কেউ রেলের সঙ্গে ধাক্কা খাবে, মোবাইল ফোন নিয়ে রেললাইনে হাঁটবেন আর দুর্ঘটনা ঘটলে তার দায় নিতে হবে রেল কর্তৃপক্ষকে, তা কেন?

রেলমন্ত্রী আরও বলেন, রেল নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে নানা বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। এটা নিরসনে আমরা কাজ করছি। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যেমন পৌরসভা, সড়ক বিভাগসহ রেললাইন অঞ্চলের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা বলে সমন্বয় করা হবে।

মাগুরা জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আ ফ ম আবদুল ফাত্তাহর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ কুমার কুন্ডুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন মাগুরা মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সাইফুজ্জামান শিখর, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুন্সী রেজাউল হক প্রমুখ।

রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পে ফরিদপুরের মধুখালী থেকে কামারখালী হয়ে মাগুরা শহর পর্যন্ত ২৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার নতুন রেলপথ নির্মাণ কাজ চলমান। ১ হাজার ২০৪ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি ২০২১ সালের মে মাসে প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সে উদ্বোধন করেন। প্রকল্পের আওতায় মাগুরা ও ফরিদপুরের কামারখালীতে দুটি নতুন স্টেশন ও দুটি প্ল্যাটফর্ম, দুটি সেড নির্মাণ, একটি আন্ডারপাস, গড়াই ও চন্দনায় দুটি মেজর রেল সেতু, ২৮ মাইনর ব্রিজ ও কালভার্ট নির্মাণ করা হবে।

পাশাপাশি সিগন্যালিং ও ইলেকট্রিক্যাল কাজ করা হবে। ২০২৩ সালে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। তবে প্রকল্পের জন্যে ১৩০ একর ভূমি অধিগ্রহণের কাজ তিন বছরেও শেষ হয়নি।

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক