অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচার আইনের মামলায় বরখাস্ত পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানকে বিচারিক আদালতের দেওয়া পৃথক তিন ধারায় ১৪ বছরের কারাদণ্ডাদেশ বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।
ওই রায়ের বিরুদ্ধে মিজানুর রহমানের আপিল খারিজ করে বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রায় দেন বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার একক হাইকোর্ট বেঞ্চ।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মাহবুব শফিক ও পারভীন সুলতানা। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।
২০২৩ সালের ২১ জুন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক মঞ্জুরুল ইমাম এ রায় দেন। রায়ে মিজানুর রহমানসহ স্ত্রী সোহেলিয়া আনার ওরফে রত্না রহমান, ছোট ভাই মাহবুবুর রহমান ও ভাগ্নে মাহমুদুল হাসানকে দণ্ড দেন।
মিজানুর রহমানকে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আইন ২০০৪ এর ২৬(২) ধারায় তিন বছর, ২৭(১) ধারায় ছয় বছর এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সবগুলো সাজা একত্রে চলবে বলে তাকে ছয় বছর সাজা ভোগ করতে হবে।
অপরদিকে বাকি তিনজনকে ২৭(১) ধারায় তিন বছর ও মানিলন্ডারিং আইনে চার বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। তাদেরও চার বছর সাজা ভোগ করতে হবে। এছাড়া ডিআইজি মিনজানকে অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদের জরিমানা করা হয়।
২০১৯ সালের ২৪ জুন দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে (ঢাকা-১) দুদকের পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ বাদী হয়ে ডিআইজি মিজানসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে তিন কোটি ২৮ লাখ ৬৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তিন কোটি সাত লাখ পাঁচ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়।