মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ট লুর সংলাপের আহ্বান উড়িয়ে দিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
তিনি বলেছেন, ডোনাল্ড লু বা যেই বিদেশিই যে কথা বলুক তাতে আমাদের কিছু যায় আসে না। সঠিক সময়ে নির্বাচন হবে
বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সফররত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সরকার সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যারা বাধা দেবে তাদের শাস্তি দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ কী বলে সেটাই মূল কথা।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মানবাধিকার-নির্বাচন নিয়ে রাষ্ট্রদূতদের দৌড় ঝাঁপ দৃষ্টিকটূ। মানবাধিকার, গার্মেন্টস এইসব কথা বলে নির্বাচনের সময় তারা কিছু ফায়দা লুটতে চায়। কিন্তু গাজা পরিস্থিতির দিকে না তাকিয়ে বাংলাদেশের মানবাধিকার নিয়ে কথা বলে মানবাধিকার কমিশন তাদের গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে।
সোমবার সংলাপ নিয়ে দেশের তিন রাজনৈতিক দলের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ট লু চিঠি পাঠিয়েছেন। সেই চিঠি আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির পৌঁছে দিয়েছেন ঢাকায় মার্কিন দূত পিটার হাস।
অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করতে প্রধান রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির সঙ্গে বিনা শর্তে সংলাপ চায় যুক্তরাষ্ট্র। আর সে লক্ষ্যেই চিঠি লিখেছেন ডোনাল্ড লু।
মঙ্গলবার অবশ্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, সংলাপ হতে পারে কিন্তু কার সঙ্গে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বুধবার বলেন, দেশের চলমান অবস্থায় নির্বাচন হলে নতুন করে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে জাতীয় পার্টির এমন উদ্বেগ ভিত্তিহীন, জুজুর ভয় সরকার পায় না।
বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘের যেই বিশেষজ্ঞরা উদ্বেগ জানিয়ে তারা আসলে ঘুমাচ্ছেন, জাতিসংঘের দ্বিমুখী অবস্থান গ্রহণযোগ্য নয়, বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী