মোবাইল ব্যবসায়ীরা এনইআইআর সংস্কার ও মুক্ত আমদানি সুযোগসহ দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট শুরু করেছেন। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে তারা বিটিআরসি কার্যালয় ঘেরাও করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন।
ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্ট্রার (এনইআইআর) সংস্কার, সিন্ডিকেট প্রথা বিলোপ এবং মোবাইল ফোন আমদানির সুযোগ উন্মুক্ত করার দাবিতে সারা দেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট শুরু করেছেন মোবাইল ব্যবসায়ীরা।
রোববার (৭ ডিসেম্বর) সকাল থেকে এই কর্মসূচি কার্যকর হয়েছে। এর ফলে রাজধানীর মোতালেব প্লাজা, ইস্টার্ন প্লাজাসহ দেশের অধিকাংশ মোবাইল মার্কেট ও দোকানপাট বন্ধ রয়েছে।
দোকান বন্ধ রাখার পাশাপাশি ব্যবসায়ীরা রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি পালন করছেন।
ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে মোবাইল ব্যবসায়ীদের সংগঠন ‘বাংলাদেশ মোবাইল বিজনেস কমিউনিটি’ (এমবিসিবি)। এমবিসিবির সাধারণ সম্পাদক আবু সায়ীদ পিয়াস জানান, রোববার সকাল থেকেই সারা দেশে মোবাইল দোকান বন্ধ রাখা হয়েছে এবং দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
আগামী ১৬ ডিসেম্বর থেকে এনইআইআর বা মোবাইল ফোন নিবন্ধনের কড়াকড়ি নিয়ম চালু হওয়ার কথা রয়েছে। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, কোনো পূর্ব-পরামর্শ ছাড়াই হঠাৎ এ সিদ্ধান্ত ঘোষণার ফলে বাজারে চরম অস্থিরতা তৈরি হয়েছে।
ব্যবসায়ীরা দাবি করছেন, দেশের মোবাইল মার্কেটের ৭০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে যুক্ত প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা ছাড়া একতরফাভাবে এনইআইআর কার্যকর করা হলে সাধারণ ব্যবসায়ীরা বিপাকে পড়বেন। তারা এনইআইআরের বিপক্ষে নন, তবে সংস্কার, ন্যায্য করনীতি ও মুক্ত বাণিজ্যের সমান সুযোগ চান।
বর্তমান নীতিমালা অনুযায়ী কোনো বিদেশি ব্র্যান্ড যদি স্থানীয়ভাবে পণ্য সংযোজন করে, অন্য কেউ সেই ব্র্যান্ড আমদানি করতে পারবে না। ব্যবসায়ীরা মনে করছেন, এতে একচেটিয়া ব্যবসার সুযোগ তৈরি হবে, প্রতিযোগিতা কমে যাবে এবং গ্রাহক পর্যায়ে স্মার্টফোনের দাম বাড়বে।
সংগঠনটির তথ্যমতে, সেক্টরে প্রায় ২৫ হাজার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও ২০ লাখ মানুষের জীবিকা জড়িত। স্টকে থাকা শত শত কোটি টাকার হ্যান্ডসেট ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে বিক্রি করা সম্ভব নয়। এমতাবস্থায় দাবি মানা না হলে বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে


















