সিলেট নগরীতে দুই পাড়ার সংঘর্ষে পুলিশসহ প্রায় ৫০ জন আহত হয়েছেন। এরমধ্যে কমপক্ষে ১০ জন গুলিবিদ্ধ রয়েছেন। বুধবার রাত তারাবির নামাজের শেষের দিকে এই সংঘর্ষ শুরু হয় নগরীর মাছিমপুর ও ছড়ারপাড় এলাকাবাসীর মধ্যে।
এ সময় দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার ছাড়াও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। প্রায় এক ঘণ্টা সংঘর্ষের পর এসএমপি বিপুল সংখ্যক পুলিশ রাবার বুলেট ছুঁড়ে রাত ১০টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট মহানগর পুলিশের মিডিয়া অফিসার ও অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার বিএম আশরাফ উল্যাহ তাহের।
পুলিশ জানায়, প্রয়াত মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের বাসার সামনেসহ ছড়ারপাড় এলাকার রাস্তায় ড্রেনের ময়লা তুলে রাখা হয়। এ নিয়ে স্থানীয় দুই কাউন্সিলরের সমর্থকদের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। দুই পাড়ার সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই হাসানসহ আরও অনেকেই আহত হন।
তবে স্থানীয় সূত্র জানায়, মঙ্গলবার মাছিমপুর ও ছড়ারপাড়ের দুই যুবকের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এ নিয়ে দুটি পাড়ার মধ্যে উত্তেজনা শুরু হলে ১৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম মুনিম ও ২৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোস্তাক আহমদের উপস্থিতিতে বৈঠক হয়। কিন্তু বৈঠকে কোনো সমাধান হয়নি।
এর জের ধরে বুধবার উভয় পাড়ার লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এরই মধ্যে বুধবার রাতে আকস্মিক দুইপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এক পর্যায়ে ব্যাপক গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। কমপক্ষে ১০ জন গুলিবিদ্ধ হন এই সংঘর্ষে।
উস্কানি, সংঘর্ষ ও গুলি বর্ষণের দায় মাছিমপুর ও ছড়ারপাড়ের লোকজন পরস্পরকে দায়ী করছেন। কেউ দায় নিতে রাজি নয়। দুই কাউন্সিলরকে ফোন করলে দীর্ঘক্ষণ ধরে ব্যস্ত পাওয়া যায়।