জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে আদালতের রায়কে ফরমায়েশি হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, এ রায়ের মাধ্যমে ‘হিংসা ও আক্রোশের’ বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।
বুধবার সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ৯ ও জুবাইদা রহমানকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
রায়ের পর বিএনপির চেয়ারপার্সনের গুলশানের কার্যালয়ে মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের বলেন, তারেক রহমান ও তাঁর স্ত্রী জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে দেয়া সাজা হিংসা ও আক্রোশের বহিঃপ্রকাশ। ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে রাখতে সরকার তার কোনো প্রতিপক্ষ রাখতে চায় না। সেজন্য ফরমায়েশি রায় দেওয়া হয়েছে।
বিচারবিভাগকে ব্যবহার করে সরকার নীল নকশা বাস্তবায়ন করছে বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির মহাসচিব।
তিনি বলেন, এই রায় সরকার প্রধানের নির্দেশে হয়েছে। নজিরবিহীন দ্রুততার সাথে সাক্ষ্য নিয়ে রায় দেয়া হয়েছে। আজকের ফরমায়েশি রায় জনগণ প্রত্যাখ্যান করছে। জনগণের যে জাগরণ সৃষ্টি হয়েছে বিএনপির এক দফার আন্দোলনে, সেটাকে নস্যাৎ করতে এই সাজানো রায় দেয়া হয়েছে।
ফখরুল বলেন, রাজনৈতিক ঈর্ষায়, প্রতিহিংসায় তারেক রহমানকে টার্গেট করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এসব করে জনগণের আন্দোলন দমানো যাবে না। এই সরকার আসার পর থেকে দলীয়করণ করে প্রতিটি রায় ফরমায়েশি দেয়া হচ্ছে।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, সরকার প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে দেয়া এবং নির্বাচন থেকে দূরে সরিয়ে দেয়ার জন্য ফরমায়েশি রায়।
জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ ও সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় এ মামলাটি করে দুর্নীতি দমন কমিশন।
দীর্ঘদিন ঝুলে থাকার পর গত ১৩ এপ্রিল তারেক ও জুবাইদার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয় ২১ মে।