তালা ভেঙে কার্যালয়ে ঢোকার চেষ্টার অভিযোগ এনে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরসহ ৯৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর পল্টন থানায় মামলাটি করেন প্রীতম-জামান টাওয়ারের ষষ্ঠতলায় নুরের কার্যালয় ফ্লোরের মালিক মিয়া মশিউজ্জামান।
পল্টন থানার ওসি সালাহউদ্দীন মিয়া জানান, মামলায় নুরসহ ১৭ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত অন্তত ৮০ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন– মুহাম্মদ রাশেদ খান, শহীদুল ইসলাম ফাহিম, বিপ্লব কুমার পোদ্দার, শাকিল উজ্জামান, সরকার নুরে এরশাদ সিদ্দিকী, নাদিম হাসান, মনজুর মোরশেদ, বিন ইয়ামিন মোল্যা, রবিউল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম (নুর), ফাতেমা তাসনীম, হেলেনা আক্তার, সাব্বির হোসেন, অর্ণব হোসেন, আবির ইসলাম সবুজ, ইমরান হোসেন প্রমুখ।
এজাহারে বলা হয়েছে, ফ্লোর ভাড়া নিয়ে গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করলেও ১৬ মাস ভাড়া পরিশোধ করেনি। এ ছাড়া নুরের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ দেশি-বিদেশি সংগঠন ও ব্যক্তির সংশ্লিষ্ট থাকায় কার্যালয়ে তালা দেন মালিক মশিউজ্জামান। কিন্তু বৃহস্পতিবার তালা ভেঙে কার্যালয়ে ঢোকার চেষ্টা করেন নুর ও তাঁর অনুসারীরা।
ঘটনার দিন কার্যালয়ের কলাপসিবল গেট ও তালা ভেঙে প্রবেশ করেন নুরসহ গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মী। খবর পেয়ে পুলিশ কার্যালয় থেকে তাদের বের করে দেয়। এরপর সন্ধ্যার দিকে আবারও গেটে তালা দেয় মালিকপক্ষ। কার্যালয়টি বর্তমানে পুলিশের নিয়ন্ত্রণে। সেখানে বিক্ষোভ করেছেন নুররা।
নুর সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘গণঅধিকারের কার্যালয় পুলিশ দখল করেছে। গণঅধিকার নিয়ে ক্ষমতাসীন মহল থেকে নানা ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আমরা সাংগঠনিক শক্তি দিয়েই তাদের পরাস্ত করব।’