দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টকে ইউন সুক ইওলের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা কার্যকর করতে আজ শুক্রবার কর্মকর্তারা উদ্যোগ নিয়েছেন। তার বাসভবনের বাইরে হাজির হয়েছে পুলিশ। তাদের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের উপস্থিতিতে উত্তেজনা তৈরি হয়। যেখানে হাজির ইউনের সমর্থকরা যে কোনো গ্রেফতারের চেষ্টা প্রতিরোধের শপথ নেয়।
ইউন সুক ইওল বিদ্রোহের অপরাধে তদন্তাধীন রয়েছেন। ৩ ডিসেম্বর তার সংক্ষিপ্ত সামরিক শাসনের চেষ্টার কারণে তাকে অভিযুক্ত করা হয়। কোনো দক্ষিণ কোরিয়ার বর্তমান প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে এমন গ্রেফতারি পরোয়ানা কার্যকর করার ইতিহাস নেই আর একটিও।
উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের দুর্নীতি তদন্ত অফিস (সিআইও), পুলিশ ও প্রসিকিউটরদের সমন্বয়ে গঠিত একটি তদন্ত দল ইউনের বাসভবনের ফটকে সকাল ৭টার কিছু পরে পৌঁছায়। ইয়োনহাপ নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, তিন হাজার পুলিশ সদস্য প্রস্তুত রাখা হয়েছিল।
প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তা বিভাগ তদন্তকারীদের ইউনের অফিস ও বাসভবনে প্রবেশে বাধা দেওয়ার সম্ভাবনা আছে। তবে সিআইও-র যানবাহন বাসভবনে প্রবেশ করেনি বলে জানানো হয়েছে।
ইউনের বাসভবনের কাছে ভোর থেকে শত শত বিক্ষোভকারী জড়ো হয়। তারা গ্রেফতারি পরোয়ানা কার্যকরের প্রতিবাদ করে। একজন বিক্ষোভকারী বলেন, ‘আমাদের জীবন দিয়ে তাদের আটকাতে হবে।’ কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তাকে পথ আটকানোর চেষ্টা করেন। অনেকে ‘জনগণ প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলকে রক্ষা করবে’ বলে স্লোগান দেন।
৭৪ বছর বয়সী পিয়ং ইন-সু বলেন, ইউনের বাসভবনের কাছে অবস্থান নেওয়া দেশপ্রেমিক নাগরিকদের প্রেসিডেন্ট প্রতিরক্ষায় অংশ নেওয়া জরুরি। তিনি দক্ষিণ কোরিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা নিয়ে বলেন, ‘আমি আশা করি ডোনাল্ড ট্রাম্প দক্ষিণ কোরিয়ার সঠিক পথে ফিরে আসতে সহায়তা করবেন।’
গত ৩ ডিসেম্বর ইউন সুক ইওল গভীর রাতে সামরিক শাসন জারির ঘোষণা দেন। কিন্তু মাত্র ছয় ঘণ্টার মধ্যেই তিনি তা প্রত্যাহার করেন। ইউনের এই পদক্ষেপ দেশজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।
ইউন বর্তমানে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছেন এবং তার অভিশংসন মামলা সংবিধান আদালতে বিচারাধীন। তার স্থায়ী অপসারণ বা পুনর্বহালের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।