নিজস্ব প্রতিবেদক: সাংবাদিকতার সাথে এদের পেশাদারীত্ব না থাকলেও এরা রীতিমতো জাঁদরেল সাংবাদিক হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকে।এদের বেশিরভাগই সংবাদ লেখার নূন্যতম জ্ঞান না থাকলেও প্রতারণার দিক থেকে ব্যপক প্রতিভাময়ী সাংবাদিকের খোঁজ পাওয়া গেছে শাহজালাল বিমান বন্দর এলাকায়। বিশেষ করে সিভিল এ্যাভিয়েশন কার্যালয়ে তার পদচারনা ব্যাপক। নাম গোলাম সাত্তার রনি।
গোলাম সাত্তার রনি কথায় কথায় সবার বিরুদ্ধে নিউজ করার হুমকি দেন। নিউজ বন্দের জন্য প্রথমে তিনি লাখ টাকা হাকলেও পরে মাত্র দুই হাজার টাকায় রফা করেছেন অনেকেই। সিভিল এভিয়েশনের গেটের দাড়োয়ান থেকে শুরু করে চেয়ারম্যান পর্যন্ত মহা বিরক্ত তার ওপর। কিন্তু কি আর করা ! তিনিতো সাংবাদিক। কথিত সাংবাদিক গোলাম সাত্তার রনির এক সময়ে দিন চলতো অনেক কষ্টে। অনেকের কাছেই তিনি সংসার চালাতে পারছেনা বলে পাচশ এক হাজার টাকা নিয়ে চলতেন সব সময়। কিন্তু বর্তমানে পেয়েছেন শাহজালাল বিমান বন্দর নামক এক টাকার খনির।
গোলাম সাত্তার রনি যে পত্রিকায় কাজ করে সেই পত্রিকাও বুঝে না বুঝে তার সংবাদ ছাপিয়ে দেন্ সংবাদের ভিত্তি কতটুকু সেই বিষয় যাচাই না করেই রনির পাচশ টাকার নিউজ ছাপিয়ে দেন অনায়াসেই। গোলাম সাত্তার রনির সারাদিন কাজ সিভিল এভিয়েশনে পড়ে থাকা। উদ্দেশ্যে সংবাদ নয়! উদ্দেশ্যে হাজার দুই টাকা। ব্যাস, তাতেই চলবে। সিভিল এভিয়েশনের পিয়ন থেকে শুরু করে সবাই তাকে ছেচড়া সাংবাদিক বলেই জানে। কারো কাছ থেকে দুই হাজার না হয় এক তা না হলে পাচশ আর যদি তাও না হয় তাহলে দুপুরের লান্চটা রনিকে না খাওয়ালে তার খবর আছে। সেই খবর ছাপাবানে রনি। সংবাদ লেখা বা মূল ধারার গণমাধ্যমে কাজ করা রনির লক্ষ্য না। কোনও পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলে পত্রিকাটি নিয়ে সংশ্লিষ্টদের কাছে যেয়ে নানান বয়ান জাহির করে টাকা হাতিয়ে নেয়া রনির অন্যতম কাজ। তারপর ফেসবুকে আপলোড করে যার বিরুদ্ধে তার কথিত রিপোর্ট তাকে এক কপি। যার বিরুদ্ধে লিখেছে তার বসের কাছে এক কপি। এই দুই কপি সম্বল তার দুই হাজার টাকার জন্য।
রনির সাথে আবার প্রশাসনের কতিপয় অসাধু কর্তা-ব্যক্তিদের সাথে গভীর সখ্যতা দেখা যায়। আবার অনেক ধান্দবাজদের এরা সোর্স হিসেবে নিয়োগ দিয়ে বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা কর্তচারীদের জিম্মি করে পরস্পরে হাতিয়ে নিচ্ছে এক থেকে দুই হাজার টাকা। যদিও সাংবাদিক পরিচয়দানকারী এই সকল ধান্দাবাজ, টাউটদের কেউ কেউ মাঝে মধ্যে জনরোষের শিকার হয়ে গণপিটুনি খাচ্ছে। এক বেবিচক কর্মকর্তা জানান গোলাম সাত্তার রনির সে সময় এসে গেছে। গোলাম সাত্তার রনি মানুষকে প্যাঁচে ফেলে, বিপদগ্রস্ত করে যেভাবে টাকা হাতিয়ে নেয়, সিভিল এভিয়েশন কর্মকর্তাদের অভিযোগ টাকার জন্য রনি মিথ্যা,ভূয়া, বানোয়াট ও প্রতিহিংশামূলক সংবাদ প্রকাশ করে।
দীর্ঘদিন যাবত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর এবং সিভিল এভিয়েশনের কর্মকর্তা কর্মচারী থেকে সাধারন যাত্রীরা পর্যন্ত রনির সহ সেখানে সাংবাদিক নামধারী কথিত সাংবাদিকের অত্যাচারে অতিষ্ট। যারা প্রকৃত সাংবাদিকদের মানহানি, হয়রানি ও আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ¯’ করে আসছে। টাকা না দিলেই মিথ্যা ও ভূয়া, সংবাদ প্রকাশ করে তাদের মানহানি করে। ভুক্তভোগীরা জানায় টাকার বিনিময়ে অনেক পক্ষে বিপক্ষে গোলাম সাত্তার রনি তার পত্রিকাসহ বিভিন্ন পত্রিকা ও অনলাইন পোর্টালে আংশিক সত্য ও সম্পূর্ণ মিথ্যা বক্তব্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে থাকে। যার কোন প্রমাণ বা আলামত থাকেনা।
আর গোলাম সাত্তার রনির মত কথিত সাংবাদিকের কারনে মূল ধারার গনমাধ্যম কর্মীরা ওই এলাকায় যেয়ে এক ধরনের বিব্রত বোধ করেন। যখন কর্মকর্তা কর্মচারীর রনির কথা বলে অভিযোগ নেয়। তবে গোলাম সাত্তার রনির মত কথিত সাংবাদিককে গন ধোলাই দিয়ে আইনের হাতে সোপর্দ করার সময় এসেছে বলে জানায় ভূক্তভুগিরা।