টিসিবির এক কোটি কার্ডের মধ্যে প্রচুর দুর্নীতি ছিল। ফলে দুর্নীতির কারণে টিসিবির ৩৭ লাখ কার্ড বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
এজন্য এক কোটি কার্ডের মধ্যে ৩৭ লাখ কার্ড নেই। যারা বেঠিক ছিল, ডুপ্লিকেশন ছিল তাদের বাদ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সচিবালয়ে তুরস্কের বাণিজ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ড. ওমর বোলাটের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, টিসিবি দিয়ে যে চাল বিক্রি করা হয়, সেটি আমরা পূর্ণমাত্রায় ব্যবহার করছি। আমরা বাজারে চাল সরবরাহ বাড়িয়েছি। ৫০ লাখ পরিবারকে (খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি) কম দামে চাল দেওয়া হয়, সেটা শুরু হচ্ছে। টিসিবির স্মার্ট কার্ডধারী ৬৩ লাখ পরিবারকে এ সপ্তাহ থেকেই টিসিবি চাল দেওয়া শুরু করবে।
এক কোটি বলা হলেও ৬৩ লাখ পরিবারকে কেন স্মার্ট কার্ডের আওতায় পণ্য দেওয়া হচ্ছে—এ বিষয়ে উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, এক কোটি কার্ডের মধ্যে প্রচুর দুর্নীতি ছিল। একই পরিবারে একাধিক কার্ড ছিল। এনআইডি ব্যবহার করে দুর্বৃত্তায়নের মাধ্যমে এই কাজটা করেছে। এক কোটির মধ্যে যে ৩৭ লাখ কার্ড নেই, এর মধ্যে একজনও বাদ পড়েনি। যারা ছিল, যারা সঠিক প্রাপক, তাদের কাছেই পণ্য পাঠানো হচ্ছে। যারা বেঠিক ছিল, ডুপ্লিকেশন ছিল তাদের বাদ দেওয়া হয়েছে। সংখ্যা একটিও বা কাউকে কমানো হয়নি।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, আমরা আরও ৩৭ লাখ কার্ড বাড়াতে চাই। ক্রয় এবং বিপণনে স্বচ্ছতা আনার মাধ্যমে যদি এটা এক কোটি থেকেও বৃদ্ধি করা সম্ভব হয়, আমরা সেটাও করব।












The Custom Facebook Feed plugin