নতুন মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সে জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘সন্ত্রাস, মাদক, জঙ্গিবাদের মতো দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান জিরো টলারেন্স। এই নির্দেশনা এবার শতভাগ বাস্তবায়ন করতে হবে।’ একই সঙ্গে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার পূরণে কর্মপরিকল্পনা নেওয়াসহ একগুচ্ছ নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।
সোমবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক যৌথসভায় তিনি এসব কথা। সভায় দলের সভাপতিমণ্ডলী, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্যরা ছাড়াও সহযোগী ও ভাতৃপ্রতীম সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা উপস্থিত ছিলেন।
যৌথসভা শুরুর আগে শেখ হাসিনা বক্তব্য রাখেন।
শেখ হাসিনা সতর্ক করে বলেন, আওয়ামী লীগের লোকেরা যদি নিজেরা দোষ খুঁজতে থাকে, তাহলে তা বিরোধীদের আরও উৎফুল্ল করবে।
শেখ হাসিনা বলেন, এই নির্বাচনটা যাতে না হয় এটা নিয়ে অনেক চক্রান্ত ছিলো, অনেক ষড়যন্ত্র ছিলো। সেই ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করেই আমরা নির্বাচনটা করেছি। আমরা নির্বাচনে সব সময় মনোনয়ন দিয়েছি, আর আমাদের বড় দল, অনেকেই নির্বাচন করতে চায়, সেই জন্য নির্বাচনটা আমরা উন্মুক্ত করে দিয়েছিলাম। সেখানে কেউ জয়ী হয়েছে, কেউ জয়ী হতে পারেনি। সেক্ষেত্রে আমি একটা অনুরোধ করব, একজন আরেকজনকে দোষারোপ করা বা কার কী দোষ ছিল খুঁজে বের করা, এগুলো বন্ধ করতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, কাউকে বেশি দোষারোপ করা এবং একে অপরের দোষ ধরা নিয়ে যদি ব্যস্ত থাকি, তাহলে এটা কিন্তু আমাদের বিরোধী দলকে আরও উত্ফুল্ল করবে।
বিএনপি-জামায়াত ও সমমনাদের বর্জনের ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নৌকার মনোনীতদের বাইরে দলের নেতাদের স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছিলো। স্বতন্ত্র হিসেবে লড়াই করা আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে ৫৯ জন নৌকাকে হারিয়ে জিতেছেন।