ধর্ম নিয়ে কটূক্তির করা দায়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সাময়িক বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী তিথি সরকারকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সোমবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক এএম জুলফিকার হায়াত এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়।
‘ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত’ করার অভিযোগ তুলে তিথির বিরুদ্ধে আন্দোলনের মধ্যে তিথি সরকারকে ২০২০ সালের অক্টোবরে বরখাস্ত করে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ।
তিনি এই সংগঠনের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার দপ্তর সম্পাদক ছিলেন। প্রাণিবিদ্যা বিভাগের এই শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও করা হয় সাময়িক বহিষ্কার।
এরপরই তার পরিবার থেকে অভিযোগ করা হয় যে, তিথি সরকার নিখোঁজ। ২০২০ সালের ২৫ অক্টোবর সকাল ৯টায় পল্লবীর নিজ বাসা থেকে থানার উদ্দেশে বের হয়েছিলেন তিথি সরকার। এরপর ১৫ দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন তিনি।
একই বছরের ৩১ অক্টোবর সিআইডির সাইবার মনিটরিং টিম দেখতে পায়, সিআইডির মালিবাগ কার্যালয়ের চারতলা থেকে তিথি সরকারকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে বলে একটি মিথ্যা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করা হয়।
এ ঘটনায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। প্রকৃতপক্ষে সিআইডিতে এ রকম কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে পুলিশের পক্ষ তেকে দাবি করা হয়।
তদন্তে নেমে গুজব রটনাকারী নিরঞ্জন বড়াল নামের একজনকে রামপুরার বনশ্রী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। এরপর নিরঞ্জনসহ অজ্ঞাত আরো কয়েকজনের বিরুদ্ধে ওই বছরের ২ নভেম্বর পল্টন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করা হয়।
২০২১ সালের ১৯ মে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশের উপ-পরিদর্শক মেহেদী হাসান এই দুজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেন। এরপর চার নভেম্বর তিথি সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।