স্বামীকে আটকে রেখে এক নারীকে ধর্ষণের ঘটনায় উত্তাল হয়ে উঠেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি)। এরই মধ্যে প্রধান অভিযুক্ত মোস্তাফিজসহ ছয় ছাত্রকে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এক দম্পতিকে ডেকে এনে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে।
শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হল সংলগ্ন জঙ্গলে এ ঘটনা ঘটে।
এরপরই ভূক্তভোগী নারীর স্বামী বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় মামলা দায়ের করে। পুলিশ চারজনকে গ্রেপ্তার করে সাত দিনের রিমান্ড চেয়েছে।
ধর্ষণের ঘটনার প্রধান অভিযুক্তরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মোস্তাফিজুর রহমান ও বহিরাগত যুবক মামুন (৪৫)।
মীর মশাররফ হোসেন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মোস্তাফিজ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক।
মোস্তাফিজের সহযোগী বহিরাগত মামুন ভুক্তভোগী নারীর পূর্বপরিচিত। এই মামুনই ওই নারীকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ডেকে আনেন।
মোস্তাফিজের সহযোগী বাকি পাঁচ জাবি শিক্ষার্থী হলেন- মুরাদ হোসেন, শাহ পরান, সাব্বির হোসেন সাগর, মোস্তফা মনোয়ার সিদ্দীকি ও হাসানুজ্জামান।
এদিকে ধর্ষণের ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর উত্তাল হয়ে ওঠে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। সকালেই মীর মশাররফ হোসেন হলের সামনে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী বিক্ষোভ করেন। এসময় তারা ধর্ষক ও তাদের প্রশ্রয়দাতা এবং প্রশাসনে বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেন।
বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার থেকে রেজিস্টার ভবনের সামনে অবস্থান নেয়। পরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. নুরুল আলম জরুরি সিন্ডিকেট সভা ডেকে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত পড়ে শোনান। এসময় শিক্ষার্থীরা প্রায় আধাঘণ্টা তাকে ঘিরে রাখে।
ভিসি জানান, মোস্তাফিজুর রহমানকে আজীবন বহিষ্কারসহ সকল সনদপত্র বাতিল করা হয়েছে এবং তাকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্চিত করা হয়েছে। আর অন্য অভিযুক্ত শিক্ষার্থী মুরাদ হোসেন, শাহ পরান, সাব্বির হোসেন সাগর, মোস্তফা মনোয়ার সিদ্দীকি ও হাসানুজ্জামানকে সাময়িক বহিষ্কার ও সনদ প্রদান স্থগিত করা হয়েছে। এছাড়া তাদের সবাইকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে।