ধর্ষণের একটি মামলায় হেরে গেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শাস্তি হিসেবে তাকে ৮ কোটি ৩৩ লাখ ডলার জরিমানা করেছেন নিউইয়র্কের একটি আদালত।
জরিমানার এই অর্থ মামলার বাদী মার্কিন লেখক ও সাংবাদিক ই. জেন ক্যারলকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে দিতে হবে বলে নির্দেশ দেন আদালত। খবর: বিবিসির
স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের ম্যানহাটান ফেডারেল আদালত এই মামলার রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণার সময় আদালত ভবনে থাকলেও এজলাসে হাজির ছিলেন না ট্রাম্প। অন্যদিকে নিজের দুই আইনজীবীর সঙ্গে এজলাসে হাজির ছিলেন ক্যারল।
রায় ঘোষণার পর নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ক্ষোভ ঝাড়েন ট্রাম্প। বিচার ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেন তিনি।
এক পোস্টে ৭৭ বছর বয়সী ট্রাম্প লেখেন, ‘আমাদের বিচার ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে এবং এখন একে রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এটা আমেরিকার সংস্কৃতি নয়। ’
অন্য দিকে রায় ঘোষণার পর উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন মামলার বাদী ক্যারল।
নিজের প্রতিক্রিয়া জানাতে ৭৮ বছরের মার্কিন লেখক বলেন, ‘এই রায় তাদের পক্ষে যারা আঘাত পেয়ে পড়ে যাওয়ার পর ফের উঠে দাঁড়ায়। আর যেসব উৎপীড়ক প্রতিনিয়ত নারীকে অত্যাচার করে, মিশিয়ে ফেলতে চায়, এই রায় তাদের বিরুদ্ধে। ’
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ধর্ষণের এই মামলাটি হয়েছিল ২০১৯ সালে। ই. জেন ক্যারল নিজেই বাদী হয়ে মামলাটি করেছিলেন। অভিযোগপত্রের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৯৬ সালের এক বিকেলে ম্যানহাটানের ফ্যাশন হাউস বার্গডর্ফ গুডম্যান নিজের বন্ধুর জন্য পোশাক কিনতে গিয়েছিলেন জেন ক্যারল। পূর্ব পরিচয়ের সুবাদে ডোনাল্ড ট্রাম্পও তার সঙ্গে ছিলেন। সে সময় ওই ফ্যাশন হাউসের ড্রেসিং রুমে ক্যারলকে ধর্ষণ করেন ট্রাম্প।