নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারতে নয়া প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর একান্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে বিভিন্ন বিষয় আলাপের পর শেখ হাসিনা নরেন্দ্র মোদীকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ছিলেন তার কন্যা ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণাএশিয়া বিষয়ক আঞ্চলিক পরিচালক সায়মা ওয়াজেদ পুতুল।
রোববার প্রধানমন্ত্রীর নয়াদিল্লি সফর নিয়ে এক ব্রিফিংয়ে একথা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
মন্ত্রী বলেন, দুই দেশে দুই প্রধানমন্ত্রীর (মোদি-হাসিনা) নেতৃত্বে ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় উন্নীত হয়েছে।
শপথের পরপরই নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীের সঙ্গে শেখ হাসিনার বৈঠক হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ভবিষ্যতের দিনগুলোতে দুই দেশের সম্পর্ক আরও গভীর হবে বলে আশাবাদ জানিয়েছেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, প্রতিবেশী দুই দেশের সম্পর্ক বহুমাত্রিক। এখানে অনেকগুলো বিষয় আছে। যেহেতু একই সরকারের ধারাবাহিকতা, তাই কাজ করার ক্ষেত্রে কিছু বাড়তি সুবিধাও রয়েছে।
হাছান বলেন, বাংলাদেশেও একই সরকার, ভারতেও একই সরকার; তাই কাজের ধারাবাহিকতার ক্ষেত্রে কিছু সুবিধা তো আছেই।
দুই দেশের সম্পর্কের মাধ্যমে উভয় দেশের মানুষ উপকৃত হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিশেষ করে কানেক্টিভিটি এবং অন্য ক্ষেত্রগুলোতে মানুষ বেশি উপকৃত হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীর বরাত দিয়ে তিনি বলেন, ভবিষ্যতের দিনগুলোতেও আমাদের যে বহুমাত্রিক সম্পর্ক, সেটি আরও বিস্তৃত হবে। বাংলাদেশ-ভারতের গভীর আন্তরিকতাপূর্ণ সম্পর্ক, সেটি আরও গভীর হবে।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিজেপির জ্যেষ্ঠ নেতা লাল কৃষ্ণ আদভানির সঙ্গে তার বাড়িতে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
এছাড়া ভুটানের রাজা শেরিং তোবগের সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।