নারায়ণগঞ্জে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদের বিলাশবহুল একটি ডুপ্লেক্স ভবন জব্দ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও জেলা প্রশাসক।
শনিবার বিকেল চারটায় জেলার রূপগঞ্জ উপজেলার আনন্দ হাউজিং সোসাইটি এলাকার বাড়িটি জব্দ করা হয়।
এ সময় নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হক, স্থানীয় উপজেলা প্রশাসনের লোকজন ছাড়াও দুদকের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সবশেষ ২১ দিনের সময় দিয়ে বেনজীর ও তার পরিবারের কাছে সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিশ জারি করে দুদক। পরপর দুই দফা তলব করলেও বেনজীর ও পরিবারের কেউ দুদক কার্যালয়ে হাজির হয়নি।
এর পরিপ্রেক্ষিতে দুদকের উপ পরিচালক মাইনুল হাসানের নেতৃত্বে তিন সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশশাসকের এডিসি রাজস্ব শফিকুল আলমের নেতৃত্বে উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা আহসান মাহমুদ রাসেল, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সিমন সরকারসহ উপজেলা ভূমি অফিস অভিযানে অংশ নেয়। প্রথমে তারা ভবনটি প্রবেশ গেটে সম্পত্তি ক্রোকের একটি সাইবোর্ড সাটিয়ে দেন। পরে পুরো ভবনটি পরিদর্শন করে ভবনটির দুইটি দরজায় সিলগালা করে দেন।
এব্যাপারে দুদকের উপ পরিচালক বলেন, আদালতের নির্দেশে আমরাসহ জেলা প্রশাসক আজকে বেনজীর আহমেদের মেয়ে ফারহীন রিশতা বিনতে বেনজীরের নামে ২৪ কাঠার জমির ওপর নির্মিত ডুপ্লেক্স ভবনটি দখলে নিয়েছি। এখানে নিরাপত্তা কর্মী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনা এলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেবো।
স্থানীয়রা জানান, বেনজীর আহমেদ প্রায় আট বছর আগে এলাকার প্রয়াত প্রেমানন্দ সরকারের সন্তানদের কাছ থেকে এক কোটি ৮৩ লাখ টাকায় এই জায়গাটি কিনে নেন। এরপর ২০২২ সালের দিকে বাড়িটি নির্মাণ করা হয়। বেনজীর আহমেদ মাঝেমধ্যেই এ বাড়িতে আসতেন, রাত্রিযাপনও করতেন। বাড়ির নিরাপত্তায় সার্বক্ষণিক কেয়ারটেকার এবং পাশাপাশি দুটি কুকুরও রাখা ছিল।
এদিকে সূত্র জানায়, দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১২ জুন আদালত তৃতীয় দফায় বেনজীরের আরও বিপুল সম্পদ জব্দ করেছে। সে তালিকায় এ বাংলোটিও ছিল। এরপর বাড়িটি দেখভালের জন্য জেলা প্রশাসককে রিসিভার নিয়োগ দেয় আদালত।