চলমান অবরোধের মধ্যে যারা সহিংসতা, নাশকতা করছে, গাড়িতে আগুন দিচ্ছে, পেট্রল বোমা মারছে, তাদের ধরিয়ে দিলে পুরস্কৃত করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান।
সোমবার (৬ নভেম্বর) ডিএমপি সদর দপ্তরে আয়োজিত পেট্রোল পাম্প মালিক সমিতির নিরাপত্তা ব্যবস্থা সংক্রান্ত এক মতবিনিময় সভায় এ কথা জানান তিনি।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, বিভিন্ন স্থানে যারা গাড়িতে আগুন দিচ্ছে, পেট্রল বোমা মারছে, সহিংসতা-নাশকতা করছে তাদের অনেককে আমরা হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অনেককে প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা পুলিশের হাতে ধরিয়ে দিয়েছেন।
নাশকতাকারীদের যারা ধরিয়ে দেবেন, তাদের পুরস্কার দেওয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, নাশকতাকারীদের ধরিয়ে দিলে ২০ হাজার নগদ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, রাজধানী ঢাকাকে নিরাপদ করার জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ সদা তৎপর। পুলিশ দিনরাত কাজ করছে। প্রত্যেক পেট্রল পাম্পে রাতে একবার হলেও পুলিশ খোঁজ নিচ্ছে। অবরোধ চলাকালে পুলিশের কর্মকাণ্ড কিন্তু দৃশ্যমান। পোশাকে ও সাদা পোশাকে পুলিশ কাজ করছে। আমাদের গোয়েন্দা কার্যক্রম ও অব্যাহত আছে।
তিনি বলেন, ঢাকা অনেক বড় শহর। অনেক মানুষের বসবাস এখানে। কিছু ঘটনা তো ঘটে যাচ্ছে। পুলিশ কিন্তু অনেক ঘটনা নিবৃত করেছে। অনেককে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে এসেছে। হাতেনাতে অনেককে ধরেছে। হাতেনাতে ধরার ক্ষেত্রে যারা আমাদের সহযোগিতা করেছেন, তাদের আমরা নগদ পুরস্কার দেব।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, কীভাবে নিরাপদে আমরা সামনের দিনগুলোতে চলতে পারি, এটাই এখন আমাদের মূল উদ্দেশ্য। একটি রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি চলছে। আপনারা জানেন, একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে রাজনৈতিক কর্মসূচি থাকবে, এটিই স্বাভাবিক। সবাইকে এটি মেনে নিতে হবে। কারণ আমরা একেকজন একেক দল পছন্দ করি।
তবে রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে জ্বালাও-পোড়াও হচ্ছে, পেট্রল বোমা নিক্ষেপ হচ্ছে। সচেতন নাগরিক হিসেবে প্রতিরোধ গড়তে হবে, এ ধরনের ঘটনা যাতে তারা না ঘটাতে পারে, বলেন তিনি।
পেট্রল পাম্প মালিকদের অনুরোধ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, এর আগে হরতাল-অবরোধের সময় পেট্রল পাম্পে আগুন দেওয়া হয়েছিল। সেজন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। পুলিশের পক্ষ থেকে নিয়ম রয়েছে মাসে অন্তত একবার পেট্রল পাম্প ভিজিট করা। আমাদের অফিসাররা অনেক সময় হয়তো ব্যস্ত থাকায় যেতে পারেন না। এখন অফিসাররা গেলে সহযোগিতা করবেন, তথ্য দেবেন। কোন সমস্যা হলে নিকটস্থ থানায় যোগাযোগ করুন। পেট্রল পাম্পে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করুন। পুরো পাম্প এলাকা যাতে সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় থাকে, তা নিশ্চিত করুন।