নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ওয়ানডেতে ওদেরই হারিয়ে ইতিহাস লিখলো বাংলাদেশ। আগে ব্যাট করতে নেমে শরিফুল-তানজিম সাকিব-সৌম্যের তাণ্ডবে কেঁপে ওঠে নিউজিল্যান্ড।
শনিবার দিনগত রাতের ম্যাচে ৯৮ রানে অলআউট হয় স্বাগতিকরা। জবাবে ২০১ বল ও ৯ উইকেট হাতে রেখে জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ।
বোলিংয়ে নেমে শরিফুল আর সাকিব দু’প্রান্ত থেকে আক্রমণ শুরু করে। চতুর্থ ওভারেই রাচিন রবীন্দ্রকে ফিরিয়ে ব্রেক থ্রু এনে দেন তানজিম সাকিব। নিকোলসকে নিয়ে ধাক্কা সামলানোর চেষ্টা করেও লাভ হয়নি। সাকিবের কাছে কুপোকাত হয়ে ফেরেন কিউই ব্যাটার।
এরপরই শুরু হয় শরিফুলের আক্রমণ। নিজের টানা তিন ওভারে তিন উইকেট তুলে নিয়ে স্বাগতিকদের ব্যাটিং বিপর্যয়ে ফেলে দেন এই ইয়াংস্টার।
তানজিম সাকিব-শরিফুল তিন উইকেট তুলে নেয়ার পর আগ্রাসী হন সৌম্য সরকার। তিনিও তুলে নেন তিন উইকেট। ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বেগ পেতে হয়নি টাইগারদের। এক উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নেয় শান্ত বাহিনী।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
নিউ জিল্যান্ড: ৩১.৪ ওভারে ৯৮ (ইয়াং ২৬, রবীন্দ্র ৮, নিকোলস ১, ল্যাথাম ২১, ব্লান্ডেল ৪, চ্যাপম্যান ২, ক্লার্কসন ১৬ , মিল্ন ৪, আশোক ১০, ডাফি ১*, ও’রোক ১; শরিফুল ৭-০-২২-৩, তানজিম ৭-২-১৪-৩, মুস্তাফিজ ৭.৪-০-৩৬-১, সৌম্য ৬-১-১৮-৩, মিরাজ ১-০-৩-০, রিশাদ ৩-০-৪-০)।
বাংলাদেশ: ১৫.১ ওভারে ৯৯/১ (সৌম্য আহত অবসর ৪, এনামুল ৩৭, শান্ত ৫১*, লিটন ১*; মিল্ন ৪-০-১৮-০, ডাফি ৫-০-২৭-০, ক্লার্কসন ২-০-১৯-০, ও’রোক ৪-০-৩৩-১, আশোক ০.১-০-২-০)।
ফল: বাংলাদেশ ৯ উইকেটে জয়ী।
সিরিজ: ৩ ম্যাচ সিরিজে নিউ জিল্যান্ড ২-১ ব্যবধানে জয়ী।
ম্যান অব দা ম্যাচ: তানজিম হাসান।
ম্যান অব দা সিরিজ: উইল ইয়াং।