তথ্য যাচাই নিয়ে তরুণ সাংবাদিকদের একটি কর্মশালায় যোগ দিয়ে নিজের জায়গায় হাঁসের ছবি বসিয়ে হাসির খোরাক জুগিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস।
গতকাল বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঢাকার মহাখালীতে বিওয়াইএলসির প্রধান কার্যালয়ে ওই কর্মশালার সমাপনীতে যোগ দিয়ে ভুল ও অপতথ্যের বিষয়ে নিজের অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন তিনি। ঢাকার যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের আয়োজনে তিনদিনের এ টেকক্যাম্প কর্মশালায় ৫০ জন তরুণ সাংবাদিককে ভুল তথ্যের বিরুদ্ধে লড়াই, তথ্য যাচাই ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সর্বোত্তম অনুশীলনগুলো শেখানো হয়।
তাতে তরুণ সাংবাদিক ও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের শীক্ষার্থীরা অপতথ্য বন্ধ ও সত্যতা যাচাইয়ে নিজেদের পরিকল্পনা তুলে ধরেন।
আর পিটার হাস তার আনুষ্ঠানিক বক্তব্যে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার রক্ষায় তরুণ সাংবাদিকদের গুজব প্রতিরোধ ও সত্যতা যাচাইয়ে সচেষ্ট থাকার আহ্বান জানান।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, আমরা যুক্তরাষ্ট্রও এর থেকে বাইরে নই। মিথ্যা তথ্য ও অপতথ্যের ঘটনা প্রায় ঘটে থাকে। তবে একসঙ্গে আমরা শিক্ষা, অনলাইন নিরাপত্তা জোরদার ও গণতন্ত্রের জন্য প্রযুক্তির ব্যবহার করতে পারি।
ভুয়া ও ভুল তথ্যের কারণে নিজের বিড়ম্বনায় পড়ার কথা তুলে ধরেন পিটার হাস। ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের নামে অন্তত ১০টি ভুয়া ফেসবুক পেজ, নিজের নামে ভুয়া টুইটার অ্যাকাউন্ট এবং যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের ভুয়া ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থাকার কথাও বলেন।
নিজের নামের সাথে হাঁসের উচ্চারণের মিল থাকার কথাও হাস্যচ্ছলে তুলে ধরেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত। নিজের জীবনীতে পিটার হাসের জায়গায় স্যুট-টাই পরা হাঁসের ছবি দিলে কেমন হবে, তা-ও স্ক্রিনে দেখান এ রাষ্ট্রদূত। তখন মিলনায়তনে হাসির রোল পড়ে যায়।
এ সময় তিনি বলেন, আমরা কিছু মজা করতেই পারি। আপনি যদি একটি খবর দেখেন যে, যেটাতে বলা হচ্ছে, আমি আমার অফিসিয়াল জীবনীতে পোট্রেট পরিবর্তন করছি এবং এটা দেখতে এই রকম। এটা রাষ্ট্রদূত হাঁস নয়, এটা রাষ্ট্রদূত হাস।
পিটার হাস আরও বলেন, আমি প্রায়শই দেখি, মানুষ আমার সঙ্গে বৈঠক করে যায় এবং আমি পরদিন পত্রিকায় দেখি, পিটার হাস এক্স-ওয়াই-জেড বলেছেন এবং আমি এমন কিছুই বলিনি। কেউ আমাদের সঙ্গে ফ্যাক্ট চেক করে না এবং বলে না ‘আপনি কি সত্যি সত্যি এটা বলেছেন অথবা আপনি কী বলেছেন?’ এটা একটা বড় উদাহরণ। কোনো কোনো সময় এটা ক্ষতিকর হয়।
উল্লেখ্য, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে হাঁসকে মিলিয়ে বিভিন্ন বক্তব্য দিয়েছিলেন আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।