নেপালের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কিকে দেশটির অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে।
শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) নেপালের প্রেসিডেন্ট দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
কয়েক দফার আলোচনা শেষে জেন-জির বিক্ষোভকারীদের প্রতিনিধি, প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পাউডেল এবং সেনাবাহিনীর প্রধান অশোক রাজ সিগদেল মিলে এ সিদ্ধান্ত নেন।
একটি সূত্র জানিয়েছে, সুশীলা কার্কি নেপালের ইতিহাসে প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হলেন। তার নেতৃত্বে একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হবে। তার সরকারের মন্ত্রিসভার আকার ছোট হবে এবং আজ রাতেই প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠক করবেন তিনি। এ বৈঠক থেকে কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার প্রস্তাব দেবেন তিনি।
সকালে থেকেই পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা চলছিলো। এটি ছিলো জেন-জি বিক্ষোভকারীদের প্রধান দাবি। একই সঙ্গে কিছু রাজনৈতিক দলও পার্লামেন্ট ভাঙার দাবি তুলেছিল। অবশেষে প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পাওডেল এই প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে সম্মত হন।
সূত্র জানিয়েছে, প্রথমদিকে প্রেসিডেন্ট পাওডেল শর্ত দিয়েছিলেন যে পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার পরেই সুশীলা কার্কিকে নিয়োগ দেওয়া হবে। কিন্তু ক্রমবর্ধমান জনচাপ ও আন্দোলনকারীদের শীতল নিবাস ঘেরাওয়ের হুমকির মুখে তিনি অবস্থান পরিবর্তন করেন।
একটি সূত্রের মতে, প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন তিনি পার্লামেন্ট ভেঙে দিচ্ছেন এবং সুশীলা কার্কিকে সঙ্গে সঙ্গেই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ করানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
বর্তমানে শীতল নিবাসে দুটি গুরুত্বপূর্ণ নথি প্রস্তুত করা হচ্ছে। একটি হলো পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার জন্য, অপরটি সুশীলা কার্কিকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগের জন্য।
সুশীলা কারকি ২০১৬ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত নেপালের প্রথম নারী প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বিচারক থাকাকালীন দুর্নীতির বিরুদ্ধে তার কঠোর অবস্থানের কারণে তিনি তরুণ জেন-জি বিক্ষোভকারীদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়।
এই বিক্ষোভকারীরাই কেপি ওলি সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে তাকে মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) পদত্যাগে বাধ্য করে।













The Custom Facebook Feed plugin