প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘দেশকে ভালোবেসে শুধু দেশের মানুষের কথা চিন্তা করে যারা পথ চলে, তাদের পথচলা কখনও সহজ হয় না। অনেক বাধা অতিক্রম করতে হয়। চলার পথ যত অন্ধকারাচ্ছন্নই হোক না কেন, যত বন্ধুর হোক না কেন, যতই কণ্টকাকীর্ণ হোক; সেখানে আমরা থেমে থাকবো না। অন্তত আমি এই প্রতিজ্ঞা করছি, থেমে থাকবো না।’
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে রোববার সকালে বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে জাতিসংঘের দেয়া স্বীকৃতি আনুষ্ঠানিকভাবে উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে গণভবন প্রান্ত থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন তিনি।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘চলার পথ যত কণ্টকাকীর্ণ হোক, যত রক্তক্ষরণ হোক; সব পদদলিত করে বাংলাদেশের জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনে এগিয়ে যাবো; এটাই হচ্ছে আমার প্রতিজ্ঞা।’
এসময় আবেগঘন কণ্ঠে রবার্ট ফ্রস্টের কবিতা পাঠ করে শোনান প্রধানমন্ত্রী।
‘দ্য উডস আর লাভলি, ডার্ক অ্যান্ড ডিপ
বাট আই হ্যাভ প্রমিসেস টু কিপ
অ্যান্ড মাইলস টু গো বিফোর আই স্লিপ
অ্যান্ড মাইলস টু গো বিফোর আই স্লিপ।’
কবিতা পাঠ শেষে বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, ‘যেকোনো সময় আমি জানি অনেক বুলেট, বোমা, গ্রেনেড আমার জন্য অপেক্ষা করছে, আমি কখনও সেগুলো পরোয়া করি না। আমি জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য কাজ করি।’
‘জোরসে চলো বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই আয়োজনে শেখ হাসিনা বলেন, ‘উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণকে টেকসই করতে একটি জাতীয় মসৃণ উত্তরণ কৌশল বা স্মুথ ট্রানজিশান স্ট্যাটেজি প্রণয়নের কাজ হাতে নিয়েছি। এই জাতীয় দলিলে উত্তরণের সম্ভাবনাগুলোকে কাজে লাগানোর পাশাপাশি ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সব ধরনের দিক-নির্দেশনাসহ কার্যকর কৌশল থাকতে হবে।
সম্যক গবেষণা ও সমীক্ষা থেকে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্তের ওপর ভিত্তি করে একটি প্রমাণনির্ভর সময়োপযোগী কার্যকর কৌশল প্রণয়নে সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানাই।’
বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় দেশের নতুন ও তরুণ প্রজন্মকে হাল ধরার আহ্বান জানান সরকারপ্রধান। তিনি বলেন, ‘চিরদিন কেউ বাঁচে না, কিন্তু যে কাজ আমরা করে গেলাম সে গতি যেন হারিয়ে না যায়, চলার গতি যেন অব্যাহত থাকে। বাংলাদেশ যেন এগিয়ে যায়, সেটাই আমরা চাই।
‘আর নতুন প্রজন্মের কাছে এটাই আমাদের দাবি। অন্তত আমি তাদের এইটুকু আহ্বান করব, দেশকে ভালোবাসবে, মানুষকে ভালোবাসবে, দেশের মানুষের জন্য কাজ করবে- সেখানেই শান্তি, সেখানেই অগ্রগতি, সেখানেই উন্নতি, সেখানেই স্বস্তি।’