দুই মন্ত্রী ইস্তফা দিয়েছেন, দলের এমপি-দের একাংশ চাইছেন, তিনি ক্ষমতা ছাড়ুন, তা সত্ত্বেও বরিস জনসন জানিয়েছেন, তিনি পদত্যাগ করবেন না।
জনসন জানিয়েছেন, আমি এখন ইস্তফা দিচ্ছি না। কারণ, দেশ এখন নির্বাচন চায় না। আমি সেই সব বিষয়ের উপর নজর দিচ্ছি যা দেশের জন্য জরুরি। ইউরোপে গত ৮০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় যুদ্ধের দিকে আমি মনোনিবেশ করছি।
পার্লামেন্টারি কমিটিতে জনসন বলেছেন, আমি সব সমস্যার মুখোমুখি হতে চাই, পালিয়ে যেতে চাই না।
এরপর তিনি হাউসিং মন্ত্রী মাইকেল গভকে ডেকে পাঠিয়ে ইস্তফা দিতে বলেন। ব্রেক্সিট নিয়ে মাইকেল গভ সরকারের তরফে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন। কিন্তু বুধবার (৬ জুলাই) তিনি বলেন, দেশ ও দলের স্বার্থে জনসনের পদত্যাগ করা উচিত।
জনসনের পার্লামেন্টের সচিব জেমস ডাডরিজ স্কাই নিউজকে জানিয়েছেন, মাইকেল গভকে বরখাস্ত করেছেন জনসন। প্রধানমন্ত্রী রীতিমতো চনমনে আছেন এবং তিনি লড়াই চালিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর।
জনসন মন্ত্রিসভা থেকে শুধু যে দুই মন্ত্রী ইস্তফা দিয়েছেন তাই নয়, ৩০ জনের বেশি কর্মকর্তা পদত্যাগ করেছেন। করোনাকালে বিধি ভেঙে জনসন পার্টি করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তার জন্য একটি ক্ষেত্রে তিনি জরিমানাও দিয়েছেন। সম্প্রতি তিনি এমন একজনকে চিফ হুইপ করেছেন, যার বিরুদ্ধে যৌন কেলেঙ্কারির অভিযোগ রয়েছে। তা জেনেও জনসন তাকে চিফ হুইপ করায় দলে প্রচুর জলঘোলা হয়েছে।
পদত্যাগ করার পর সাবেক মন্ত্রী সাজিদ জাভেদ পার্লামেন্টে বলেছেন, তিনি ইস্তফা দিতে বাধ্য হয়েছেন। তিনি বরাবর টিম প্লেয়ার হিসাবে কাজ করে এসেছেন। কিন্তু যখন ক্যাপ্টেন ভালো হয়, তখন টিমও ভালো হয়। গত কয়েক মাস ধরে যা হচ্ছে, তাতে টিমে থাকা আর তার পক্ষে সম্ভব হচ্ছিল না।