পদত্যাগ করছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ পাঁচ কমিশনার।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় এক সংবাদ সম্মেলনে সিইসি পদত্যাগের ঘোষণা দেন। তিনি এই অনুষ্ঠানকে সৌজন্য বিনিময়ে অনুষ্ঠান হিসেবে উল্লেখ করেন।
তিনি জানান, তারা পদত্যাগের বিষয়ে মনস্থির করেছেন। মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে জমা দেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশন সচিবের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেবেন।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যে তারা পদত্যাগপত্রে সই করে সচিবদের কাছে জমাও দিয়েছেন।
সৌজন্য বিনিময়ে অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনারদের মধ্যে ব্রিগেডিয়ার (অব.) আহসান হাবীব খান ও মোহাম্মদ আলমগীর উপস্থিত ছিলেন। তবে কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা ও আনিসুর রহমান উপস্থিত ছিলেন না।
ছাত্র-জনতার গণ-আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হয়। এরপর থেকে কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশনের পদত্যাগের দাবি ওঠে। নির্বাচন কমিশনের সদস্যরাও মনে করছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে তাদের পদ ছাড়তেই হবে। তাই পদত্যাগের জন্য মানসিক প্রস্তুতিও নিয়ে রেখেছেন বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে।
তবে নিজেরাই পদত্যাগ করবেন, নাকি এ নিয়ে সরকারের কোনো পরিকল্পনা আছে তা বোঝার চেষ্টায় ছিলেন এতদিন। এ বিষয়ে পরামর্শের জন্য ইসি সদস্যরা রাষ্ট্রপতি ও অন্তর্বর্তী সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও সফল হননি বলে জানা গেছে। এ অবস্থায় আজ সাংবাদিকদের সামনে এসে পদত্যাগ করেন কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি শপথ নেয় কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশন। এই কমিশনের মেয়াদ পাঁচ বছর। এই কমিশনের আমলে গত জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনও বর্জন করে বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল। শুধু আওয়ামী লীগ ও তাদের মিত্র দলগুলো ওই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে।