পরিচ্ছন্ন ইমেজের আওয়ামী লীগ সমর্থকদের জাতীয় পার্টি থেকে আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন দেয়া যেতে পারে বলে সুপারিশ করেছেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রংপুর মহানগরীর সেন্ট্রাল রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ে দলের রংপুর বিভাগের আট জেলার সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে নিয়ে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা আওয়ামী লীগের সমর্থক কিন্তু তার বিরুদ্ধে মামলা-মোকদ্দমা নেই। ক্লিন ইমেজের, মামলা বা সহিংসতার অভিযোগ নেই। তারা জাতীয় পার্টিতে যোগ দিলে যদি তাদের যোগ্য মনে করি, তাদের মনোনয়ন দেব না কেন, অবশ্যই দেব। আমাদের প্রার্থীর অভাব পূরণের জন্য আমরা অবশ্যই তা করব।
রংপুর সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র মোস্তাফিজার রহমান বলেন, ৩০০ আসনে আমরা প্রার্থী দেব। এখন জাতীয় পার্টির প্রার্থীর চেয়ে যদি ভালো শক্তিশালী প্রার্থী পাওয়া যায়, তার যদি ক্লিন ইমেজ থাকে এবং তার বিরুদ্ধে কোনো সহিংসতার আলামত না থাকে তাহলে দেব না (মনোনয়ন) কেন, অবশ্যই দেব। ফরিদপুর, গোপালগঞ্জসহ অন্যান্য জেলাগুলোতে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ সমর্থন রয়েছে। সেখানে যদি ক্লিন ইমেজের লোক জাতীয় পার্টিতে যোগদান করেন তাহলে তাদেরকে আমরা মনোনয়ন দেব।
তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি নির্বাচনমুখী দল। ৯৬ এর ১৫ ফেব্রুয়ারি ছাড়া সব নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। জাতীয় পার্টির একটাই দোষ নির্বাচনে অংশ নেয়া। এক্ষেত্রে জাতীয় পার্টি যদি একআনা দোষ করে তাহলে বিএনপি, জামায়াত, ইসলামী আন্দোলনসহ অন্যান্য দল সিকি দোষ করেছে। কারণ আওয়ামী লীগের তিনটি নির্বাচনে জাতীয় পার্টি গেছে, কিন্তু একটি নির্বাচনে অন্যরা গেছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মোস্তফা বলেন, তিনশ আসনেই জাতীয় পার্টি প্রার্থী দেবে। দলীয় কার্যালয়ে হামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, হামলা মোকাবিলায় যতটুকু সামর্থ্য আছে তা নিয়ে দল প্রস্তুত আছে। যদি কেউ হামলা করতে আসে তবে নেতাকর্মীরা শক্তহাতে তা প্রতিহত করবে।
গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তিকে বাঁচাতে বিএনপিকে ভূমিকা রাখতে হবে উল্লেখ করে জাপা কো-চেয়ারম্যান বলেন, গণতন্ত্রের স্বার্থে যারা গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তি এবং এ ধরনের মব ভায়োলেন্সে নাই তাদেরকে বাঁচানোর জন্য বিএনপির একটা ভূমিকা থাকতে হবে। তা না হলে বিএনপি একা হয়ে যাবে।
বিএনপিকে বিপদে ফেলার জন্য স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিরা চেষ্টা করছে দাবি করে মোস্তাফিজার বলেন, সামনে যদি নির্বাচনে জাতীয় পার্টি না থাকে তাহলে ইসলামী ঐক্যজোট, জামায়াত, ইসলামী আন্দোলন, এনসিপি, গণঅধিকার পরিষদ দলগুলো একসঙ্গে থাকতে চায়, আরেকদিকে থাকতে চায় বিএনপি। এখন তারা যদি বলে পিআর পদ্ধতি ছাড়া নির্বাচনে যাব না, তখন তারা যদি সরে দাঁড়ায় তাহলে বিএনপি একা হবে। তাহলে একক নির্বাচন জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য হবে না। বিএনপিকে বিপদে ফেলার জন্য স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিরা কিন্তু চেষ্টা করছে।
তিনি আরও বলেন, তারা দেখছে বিএনপি তো এগিয়ে আছে তারা রাষ্ট্র ক্ষমতায় যাবে। এখন বিএনপিকে আঘাত করতে গেলে পিআর পদ্ধতি বাস্তবায়ন ছাড়া নির্বাচনে যাবে না জামায়াতে ইসলামী। এরকম একটা খোঁড়া অজুহাত খুঁজে বিএনপিকে বিপদে ফেলার জন্য চেষ্টা। এজন্য সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে বিএনপিকে জাপার মহাসচিব এমন কথা বলতে পারেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
এ সময় জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য এসএম ইয়াসির, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক, কেন্দ্রীয় নেতা আজমল হোসেন লেবু, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও রংপুর মহানগরের সিনিয়র সহসভাপতি লোকমান হোসেন, সহসভাপতি জাহিদুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও রংপুর জেলা জাতীয় যুব সংহতির সভাপতি হাসানুজ্জামান নাজিমসহ বিভিন্ন জেলা থেকে আগত নেতারা উপস্থিত ছিলেন।












The Custom Facebook Feed plugin