পাকিস্তানে নির্বাচনের ফলকে কেন্দ্র সেখানে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। এখন পর্যন্ত যেসব আসনের ফলাফল দিয়েছে, তাতে এগিয়ে রয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআইয়ের প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানের সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। তাদের থেকে বেশ কিছুটা পিছিয়ে আছে আরেক সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের দল পিএমএল-এন। তৃতীয় স্থানে রয়েছে বিলওয়াল ভুট্টোর দল- পিপিপি।
তবে, নির্বাচনের ফল প্রকাশে বিলম্ব হওয়ায় উত্তেজনা আরও বাড়ছে। নির্বাচনের পরদিনও পূর্ণাঙ্গ ফলাফল পাওয়াটা অস্বাভাবিক না হলেও, পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনের ফল নিয়ে অনিশ্চয়তার মাত্রা নজিরবিহীন বলছেন বিশ্লেষকরা। খুব কম অফিশিয়াল ফলাফল প্রকাশ হচ্ছে এবং ইসিপি তথ্য প্রকাশ করছে না। যাকে নজিরবিহীন ঘটনা বলছেন, দেশটির রাজনৈতিক ভাষ্যকাররা।
নির্বাচনের ফল নিয়ে টানাপোড়েনের মধ্যেই নতুন চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। কারাগারে বসেই নিজেকে বিজয়ী ঘোষণা করেছেন তিনি।
এক্স হ্যান্ডেলে (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে তিনি বলেন, সম্ভাব্য সব পন্থা অবলম্বনের পরও জনগণ ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে জবাব দিয়েছে। যেভাবে করে আমরা বারবার বলে আসছি, যার সময় এসে গেছে তাকে কোনো শক্তিই প্রতিহত করতে পারবেনা।
ইমরান খান বলেন, নির্বাচনে ব্যাপক অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে জনগণ তার দলকে জেতানোর পক্ষে নিজেদের রায় দিয়েছেন। তবে কারাবন্দি এ নেতা মনে করেন, ভোট গণনার প্রক্রিয়া যেন সুষ্ঠু হয়, তা নিশ্চিত করাটা এখন জরুরি। ইমরান খান এ নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি।
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআই নেতা ইমরান খান। একাধিক মামলায় সাজা পেয়ে তিনি এখন কারাগারে আছেন। তার দলের নেতা-কর্মীরাও দমন-পীড়ন ও মামলায়-হামলায় বিপর্যস্ত। নিজেদের দলীয় প্রতীক না পেয়ে তারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের মাঠে নেমেছেন।
ইমরান চলমান ভোট গণনার একটি ছবি শেয়ার করেছেন। যেখানে দেখা যায়, বেসরকারি হিসেবে পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ১২৫টি আসনে, পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ ৪৪টি আসনে, পাকিস্তান পিপলস পার্টি ২৮টি আসনে, এমকিউএম ৯ আসনে এবং জেইউআই ৪ আসনে জয়ী হয়েছে।