পাকিস্তানে ভয়াবহ বন্যায় মৃত্যু বেড়ে এক হাজার ৪০০ জনের কাছাকাছি দাঁড়িয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫ শিশুসহ আরও ৩৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন বলে শুক্রবার দেশটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। খবর আনাদোলুর।
লাখো মানুষকে বাস্তুচ্যুত এবং আনুমানিক এক হাজার কোটি ডলারের ক্ষতি করা পাকিস্তানের এবারের এ ভয়াবহ বন্যার জন্য জলবায়ু পরিবর্তনকে দায়ী করা হচ্ছে।
কয়েক সপ্তাহ টানা বৃষ্টির পর দেশের এক-তৃতীয়াংশ ডুবে থাকা বন্যার পানির লোকালয়ে প্রবেশ ঠেকাতে পাকিস্তানের বেশ কিছু এলাকার বাসিন্দারা অস্থায়ী বাঁধ নির্মাণে নেমে পড়েছেন।
দেশটির ২২ কোটি বাসিন্দার অন্তত সোয়া তিন কোটি মানুষকেই এবারের এ বন্যা চরম বিপাকে ফেলেছে।
বন্যার পানি ঢুকে পড়ার ঝুঁকিতে থাকা দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ সিন্ধুর ভান সৈয়দাবাদ শহরের বেড়িবাঁধটি মজবুত করতে স্থানীয়রা কাজ করে যাচ্ছেন।
তার কিছুটা দূরেই অবস্থিত পাকিস্তানের সর্ববৃহৎ সুপেয় পানির হ্রদ মানচার-এর পানি উপচে আশপাশের বিস্তীর্ণ এলাকা ভাসিয়ে নেওয়ার আশঙ্কাও সৃষ্টি হয়েছে।
রেকর্ড বর্ষণ আর উত্তরের পাহাড়গুলোর হিমবাহ গলে বিপুল পরিমাণ পানি আসায় এবারের এ নজিরবিহীন বন্যা দেখা দিয়েছে।
কেবল জুলাই আর আগস্টেই পাকিস্তানে ৩৯১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। বন্যাক্রান্ত এলাকাগুলোর ৬৪ লাখেরও বেশি মানুষের এখনই মানবিক সহায়তা দরকার বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ, পাকিস্তানের জন্য ১৬ কোটি ডলার সাহায্যও চেয়েছে তারা।