স্বাস্থ্যঝুঁকি মোকাবিলায় পিছিয়ে থাকা দেশগুলোর সক্ষমতা বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, এজন্য নিবেদিত কূটনৈতিক তৎপরতার বিকল্প নেই। বাংলাদেশ পুরোভাগে থাকবে। আসুন পুরো বিশ্ব একযোগে কাজ করি।
মঙ্গলবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে জনস্বাস্থ্য ও কূটনীতি নিয়ে আয়োজিত এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সম্মেলনে দেশের স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নে সরকারের নেওয়া পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, দেশের স্বাস্থ্যসেবা বিশ্বমানের করতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর গত সাড়ে ১৪ বছরে মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করেছে। মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, বিশেষায়িত হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট গড়ে তোলা হয়েছে। বিনামূল্যে ইনসুলিন দেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
সরকার তৃণমূলে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করেছে উল্লেখ করে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর আমরা গ্রামীণ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা দিতে আট হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করি। আরও আড়াই হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করি। কিন্তু ২০০১ সালে বিএনপি সরকার গঠন করে এবং আমাদের স্থাপিত কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো বন্ধ করে দেয়। এতে করে গ্রামের মানুষকে স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত করা হয়।
সরকারপ্রধান বলেন, ২০০৯ সালে আবারও ক্ষমতায় এসে আমরা কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো চালু করি। সেসময় সবমিলিয়ে সাড়ে ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকে স্বাস্থ্যসেবা শুরু হয়। বর্তমানে সেগুলো থেকে মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা সবার পাশাপাশি মানুষকে বিনামূল্যে ওষুধ দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, আশ্রিত রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের জন্য হুমকি। আশা করি শিগগিরই মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নেবে।
দ্রুত মিয়ানমারে প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমেই কেবল রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধান সম্ভব বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী।