ট্র্যাফিক আইন অমান্য করায় ১৭ বছরের এক কিশোরকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় ক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে ফ্রান্স।
রাজধানী প্যারিসে মঙ্গলবার রাত থেকে চলমান এ বিক্ষোভে আটক হয়েছেন অন্তত ১৫০ জন আন্দোলনকারী। খবর: বিবিসি।
পেনশন সংস্কারের বিক্ষোভের রেশ কাটতে না কাটতেই বিক্ষোভের দ্বিতীয় দিনে ফ্রান্সের টাউন হলসহ দেশজুড়ে বিদ্যালয় ও থানাগুলোর সামনে ‘চরম সহিংসতার’ সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফরাসি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড ডারমানিন।
ফরাসি পুলিশ জানায়, নিহত ওই কিশোরের নাম নাহেল এম। তাকে গাড়ি থামানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সে তা অমান্য করায় গুলি করতে তারা বাধ্য হয়েছে।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়্যেল ম্যাক্রোঁ এ ঘটনায় সৃষ্ট অস্থির পরিস্থিতি পর্যালোচনায় বৃহস্পতিবার জরুরি বৈঠক ডেকেছেন। প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন এলিসি প্যালেস এ খবর নিশ্চিত করেছে।
এর আগে, প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ এ ঘটনাকে ‘ক্ষমার অযোগ্য’ অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, কোনোভাবেই এ ঘটনাকে ‘সমর্থন করা যায় না’।
তিনি আরও বলেন, কোনো কিছুই এই কিশোরকে হত্যার ন্যায্যতা দেবে না। তিনি ক্ষুব্ধ বাসিন্দাদের শান্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ন্যায়বিচার করা হবে। যা হয়েছে, এর জন্য পুরো জাতির মতো আমিও শোকাহত। আমরা নাহেলের পরিবারের পাশে আছি, পুরো জাতি আছে।
বিএফএম টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্যারিস পুলিশের প্রধান লরাঁ নুনেজ বলেন, পুলিশের এ কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তবে তাঁর ধারণা, ওই কর্মকর্তা হুমকি বোধ করায় এমন কাজ করেছেন।
নিহতের পরিবারের পক্ষের আইনজীবী ইয়াসিন বুজরু একই টেলিভিশন চ্যানেলকে বলেছেন, সব পক্ষকে এখন তদন্ত প্রতিবেদনের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। তবে তিনি মনে করেন, ছবিতেই স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে যে পুলিশ ঠাণ্ডা মাথায় এ হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে।
একাত্তর/জো