২৮ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশ করে বিএনপি। পল্টন এলাকায় সমাবেশ চলাকালেই শুরু হয় সংঘর্ষ। পরে সেটি ছড়িয়ে পড়ে আশপাশ এলাকায়। সেদিন বিকেলে রামপুরা থানার ডিআইটি রোডে ভাঙচুর হয় ট্রাফিক পুলিশ বক্স। এ ঘটনায় বিএনপি-জামায়াতের ২৪১ জনকে আসামি করে মামলা করেন রামপুরা থানার এসআই আব্দুল জলিল।
মামলার এজাহারের ৮৮ নম্বরে নাম রয়েছে বিএনপির ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক নাসির রহমানের (৪৫)। তবে ঘটনার এক বছর আগে লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বিএনপির এ নেতা। মৃত নাসিরের নাম মামলার দুদিন পর সংশোধনের আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা, রামপুরা থানার এসআই শ্রী চম্পক চক্রবর্তী।
আবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, ভুলবশত এজাহারে নাসিরের নাম লেখা হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনটি নথিভুক্ত করেছেন আদালত।
সোর্সের মাধ্যমে প্রাপ্ত হয়ে এজাহারে মৃত ব্যক্তির নাম।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শ্রী চম্পক চক্রবর্তী ৩১ অক্টোবর এজাহার সংশোধনের আবেদন করেন। আবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, মামলার এজাহারনামীয় আসামি বিএনপির ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক নাসির রহমানের নাম সোর্সের মাধ্যমে প্রাপ্ত হয়ে এজাহারে অন্তর্ভুক্ত করেন বাদী। বিষয়টি আমি প্রাথমিক তদন্তকালে এলাকার লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পারি। উল্লিখিত আসামি ইতিপূর্বে মৃত্যুবরণ করেছেন। আসামি নাসিরের নাম মামলার এজাহার থেকে বিয়োজনপূর্বক এজাহার সংশোধন একান্ত প্রয়োজন।