দেশের চারটি জেলার চা শ্রমিকদের সঙ্গে শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৪টায় ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এজন্য মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার পাত্রখলা চা বাগানে ধলই ভ্যালিক্লাব মাঠে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। ব্যবস্থা রয়েছে প্রায় এক হাজার আসনের। মাটি কেটে ঠিক করা হয়েছে ভ্যালি মাঠে যাওয়ার রাস্তা।
জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান বলেন, ‘মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, সিলেট ও চট্টগ্রাম জেলার চা শ্রমিকদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি মতবিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানটি বিটিভি থেকে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। চার জেলার মধ্যে তিনি প্রথমে মৌলভীবাজার জেলার চা শ্রমিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। মূল ভেন্যু নির্ধারণ করা হয়েছে পাত্রখোলা চা বাগান। পাশাপাশি জেলার আরও ২১টি স্থান থেকে প্রজেক্টরের মাধ্যমে চা শ্রমিকদের অনুষ্ঠানটি দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ জাকারিয়া জানান, জেলার বিভিন্ন চা বাগান থেকে প্রায় এক হাজার চা শ্রমিক ধলই ভ্যালিক্লাব মাঠে আসবেন। সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক হাজরা বলেন, ‘চা শ্রমিকরা মনের কথা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বলার জন্য অপেক্ষা করছেন।’
বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নৃপেন পাল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কাছে চা শ্রমিকদের চাওয়া ভূমি অধিকার, উচ্চশিক্ষা ও চাকরিতে কোটা, মাতৃত্বকালীন ছুটি চার মাস থেকে ছয় মাস করা, চিকিৎসা ব্যবস্থার মান উন্নয়ন ও চা শ্রমিকদের জন্য একটি বিশেষ হাসপাতাল স্থাপন ইত্যাদি।’
মৌলভীবাজার-৪ (শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য ড. মো. আব্দুস শহীদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চা শ্রমিকদের হৃদয় থেকে ভালবাসেন। চা শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধির আন্দোলনের উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরাসরি ভূমিকা ছিল প্রধানমন্ত্রীর। ওই পরিস্থিতির সময় তিনি গণভবনে বৈঠক করবেন এবং ভিডিও কনফারেন্সে চা শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলবেন জানিয়েছিলেন। ইতোমধ্যে গণভবনে চা বাগান মালিকদের ডেকে শ্রমিকদের মজুরি ৫০ টাকা বৃদ্ধি করে ১৭০ টাকা করে দিয়েছেন এবং প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সারাদেশের চা শ্রমিকদের সঙ্গে আজ বিকাল ৪টায় কথা বলবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখন চা বাগানের শ্রমিক বসতবাড়ির যাতায়াতের কাঁচা রাস্তা নেই বললেই চলে। বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, ওএমএসের চালসহ সরকারি সব সুযোগ-সুবিধা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করে দেওয়া হচ্ছে। ৪ লাখ ৭০ হাজার টাকা বরাদ্দে তাদের জন্য পাকা ঘর করে দেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে বেশকিছু বাগানে তা করে দেওয়া হয়েছে, আরও প্রক্রিয়াধীন আছে। শ্রীমঙ্গল বর্মাছড়া চা বাগানে চা শ্রমিক সন্তানদের জন্য একটি অত্যাধুনিক বিদ্যালয় করে দেওয়া হচ্ছে। প্রত্যেকটি চা বাগানে সরকারি বিদ্যালয় করে দেওয়া হয়েছে।’