দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতিসংঘের ঘোষিত অবস্থানে একটুও পরিবর্তন আসেনি। এমনটাই জানিয়েছে জাতিসংঘ। সোমবার এক প্রশ্নের জবাবে জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক এই কথা বলেন।
২২ জানুয়ারি স্থানীয় সময় দুপুরে নিউইয়র্কে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এই মন্তব্য করেন তিনি।
৭ জানুয়ারির বহুল আলোচিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরদিন দীর্ঘ এক বিবৃতিতে জাতিসংঘের এমন অবস্থান রীতিমতো শোরগোল ফেলেছিল দেশের রাজনীতি এবং কূটনৈতিক অঙ্গনে। ভলকার তুর্কের সেই বিবৃতিকে ভোটপ্রশ্নে জাতিসংঘ তথা পশ্চিমা দুনিয়ার পর্যবেক্ষণ হিসেবে দেখা হয়। নির্বাচনকে সামনে রেখে বিরোধী নেতাকর্মীদের গ্রেফতার তথা ভিন্নমত দমনে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে জাতিসংঘ মানবাধিকার প্রধান খোলাসা করেই তার বিবৃতিতে বলেন- সহিংসতা এবং বিরোধী প্রার্থী ও সমর্থকদের দমন-পীড়নের ফলে ৭ জানুয়ারির ভোটের পরিবেশ চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত
স্টিফেন ডুজারিককে প্রশ্ন করা হয়, মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা শরণার্থী নিয়ে হিমসিম খাচ্ছে বাংলাদেশ। ১২ লাখের অধিক রোহিঙ্গা প্রায় ৭ বছর যাবত বাংলাদেশের কক্সবাজার শরণার্থী হিসেবে বসবাস করছে। নিজ বসতভিটায় ফিরতে না পারার হতাশা ও ক্ষোভে শরণার্থী শিবিরের অনেকে ক্রমান্বয়ে হিংস্র হয়ে উঠছে। এ অবস্থা দীর্ঘতর হলে তা আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার জন্য বড় ধরনের হুমকি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। পাশাপাশি শরণার্থীদের জন্য বরাদ্দের পরিমাণও কমানো হয়েছে। এমন একটি চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় জাতিসংঘ মহাসচিবের কোনও পরিকল্পনা আছে কি?
জবাবে জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বলেন, প্রথমত কারো ইচ্ছার বিরুদ্ধে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া অবলম্বন করাও সমীচিন নয়। এটা তাদের সইচ্ছাই মর্যাদাপূর্ণ ভাবে এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করে হতে হবে। আর এটা তো পরিষ্কার যে, মিয়ানমারে বর্তমানে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রত্যাবাসনের উপযোগী পরিবেশ নেই। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের যারা আশ্রয় দিয়েছে, উদারতা প্রদর্শন করেছে শরণার্থীদের আতিথেয়তায়, সেই কক্সবাজার এলাকার মানুষের সাঙ্গে আমাদের সকলের অর্থাৎ মানিবিকতাসম্পন্ন বিশ্বের সংহতি প্রকাশ করা জরুরি হয়ে পড়েছে। শরণার্থীদের জন্য তহবিলের পরিমাণও বাড়ানো দরকার।