দেশের ফ্রিল্যান্সারদের বৈদেশিক আয়ের ওপর ১০ শতাংশ কর দেয়া নিয়ে যে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে, সে বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি জানিয়েছেন, ফ্রিল্যান্সারদের আয়ের ওপর কোনো উৎসে কর দিতে হবে না।
গত কয়েকদিন বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে যে, ফ্রিল্যান্সারদের সেবার বিনিময়ে পাওয়া রেমিট্যান্সের ওপর ১০ শতাংশ কর দিতে হবে।
বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগের পরিচালক (এফইপিডি) মো. সরোয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত এক সার্কুলার জারি করে অনুমোদিত ডিলার ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের পাঠানো হয়েছে।
করারোপের খবর নিয়ে দেশের ফ্রিল্যান্সারদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়াও জানাচ্ছেন অনেকে। এরি মধ্যে শনিবার সকালে এ বিষয়ে অবস্থান পরিষ্কার করলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সারদের কোনো উৎসে কর দিতে হবে না। তারা ট্যাক্সের আওতার বাইরে।’
‘বিভিন্ন মহলে গুজব ছড়ানো হচ্ছে যে, ফ্রিল্যান্সারদের কর দিতে হবে। এটা করে একটি চক্র বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করছে,’ যোগ করেন পলক।
গত কয়েক বছরে বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সিং কাজের বাজারের ব্যাপক বিস্তৃতি ঘটেছে। তারা আপওয়ার্ক, ফাইভআর, ফ্রিল্যান্সার, গুরু, পিপলপারআওয়ারের মতো বিশ্বের নেতৃস্থানীয় চাকরির বাজারগুলোতে অনলাইনে কাজ করে বৈদেশিক মুদ্রা দেশে আনছেন।
এর পাশাপাশি দেশের মধ্যে ব্লগ লিখে ও অডিও-ভিজ্যুয়াল কনটেন্ট বানিয়ে গুগল, ফেসবুক থেকেও আয় করছেন বহু মানুষ।
মার্কেট প্লেসগুলোতে অ্যাকাউন্টের হিসেবে, ফ্রিল্যান্সিংয়ে শীর্ষস্থানীয় দেশ ভারতের পরেই রয়েছে বাংলাদেশের অবস্থান।
ফ্রিল্যান্সিংয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের ধারণা, দেশে ১০ লাখের বেশি ফ্রিল্যান্সার রয়েছেন, যারা বিভিন্ন মার্কেট প্লেসগুলোতে কাজ করেছেন। আর এদের বার্ষিক আয় এক বিলিয়ন ডলারের বেশি।