বছরের প্রথম দিন দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে বই উৎসব। দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নতুন বইয়ের ঘ্রাণে আর উল্লাসে মেতে উঠবে প্রায় চার কোটি শিক্ষার্থী।
রোববার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার কার্যালয়ে শিশু শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দিয়ে বই উৎসব উদ্বোধন করেন। শিক্ষা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সোমবার সারাদেশে এই উৎসব পালন করছে। যদিও নির্বাচনের কারণে অন্যান্য বছরের মতো আয়োজন নেই। তবে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেওয়ার আয়োজনে চেষ্টায় কোনো ঘাটতি রাখেনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
২০১০ সাল থেকে শিক্ষার্থীর হাতে বিনামূল্যের বই তুলে দেওয়ার সরকারের এই উদ্যোগটি ব্যাপক সফলতা পেয়েছে। গেলো ১৩ বছরে সোয়া চার কোটি শিক্ষার্থীর মাঝে বিতরণ করা হয়েছে প্রায় ৪৫০ কোটি বই, যা সারাবিশ্বের মধ্যে বিরল দৃষ্টান্ত।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ১ জানুয়ারি প্রথম শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত সব শিক্ষার্থীর হাতে বই তুলে দিয়ে বই উৎসব উদযাপন করা হবে। রাজধানীর মিরপুর-২ নম্বরে ন্যাশনাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর হাতে বই তুলে দিয়ে বইয়ের বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন।
বই ছাপানো ও বিতরণে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) জানিয়েছে, প্রাক-প্রাথমিক থেকে এসএসসি ও সমমান পর্যন্ত তিন কোটি ৮১ লাখ ২৮ হাজার ৩৫৪ জন শিক্ষার্থীকে বিনামূল্যে বই দেওয়া হবে। বই পাবে প্রাক প্রাথমিকের ৩০ লাখ ৮০ হাজার ২০৫ জন এবং প্রাথমিক স্তরের এক কোটি ৮২ লাখ ৫৫ হাজার ২৮৪ জন শিক্ষার্থী। এই স্তুরের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ৮৫ হাজার ৭২২ জন এবং ইবতেদায়ির প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ৩০ লাখ ৯৬ হাজার ৬০৮ জন শিক্ষার্থীর হাতে নতুন বই তুলে দেওয়া হবে।
প্রাথমিক স্তুরের শতভাগ বই উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে বলে জানান এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলাম।
এনসিটিবি জানিয়েছে, মাধ্যমিকে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির এক কোটি চার লাখ ৯০ হাজার ১০৭ জন, দাখিলের ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির ২৪ লাখ ২৩ হাজার ৩৪৮ জন, ইংরেজি ভার্সন ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির এক লাখ ৭৩ হাজার ৮৫৫ জন, কারিগরির ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির দুই লাখ ৭১ হাজার ৯৫২ জন, দাখিল ভোকেশনালের ছয় হাজার ১৫ জন ও ব্রেইল পদ্ধতির ৭২৪ জন নতুন বই পাবে। সর্বমোট তিন কোটি ৮১ লাখ ২৮ হাজার ৩৫৪ জন শিক্ষার্থী পাবে বিনামূল্যে নতুন বই।