দেশের বন্যার্তদের সহায়তায় রাজনৈতিক বা ধর্মীয় পরিচয় না দেখার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। শুক্রবার (২৩ আগস্ট) এক ভিডিও বার্তায় দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে এই আহ্বান জানান তিনি।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনাদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানাব যে, দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া স্বৈরাচার দেশে মানুষে মানুষে হিংসা-বিরোধী-বিভেদ তৈরি করেছিল। কিন্তু আপনাদের প্রতি একান্ত অনুরোধ, মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রে আপনারা দয়া করে কারও রাজনৈতিক ও ধর্মীয় পরিচয়কে প্রাধান্য দেবেন না। একই সঙ্গে আপনারা ব্যক্তিগত ও দলীয় উদ্যোগের পাশাপাশি বন্যার্তদের সহায়তার জন্য সরকার ও প্রশাসন আপনাদের কাছে কোনো সহযোগিতা চাইলে দয়া করে সাধ্যমতো সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিন।
দেশের এই আকস্মিক বন্যার জন্য ভারতকে দায়ী করেন তারেক রহমান। তিনি বলেন, বাংলাদেশের এই বন্যা দেশের অভ্যন্তরে উদ্ভূত কোনো কারণে নয়। বন্যা কবলিত অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাত হলেও সেটি পূর্বাঞ্চলের বন্যার মূলকারণ নয়। বরং এবারের বন্যার মূল কারণ উজানের দেশ প্রতিবেশী ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য প্রশাসনের দায়িত্বহীনতা ও খামখেয়ালিপনা। হঠাৎ করে বাঁধ খুলে বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ এলাকা ডুবিয়ে দিলেও একটি বারের জন্যও বাংলাদেশকে আগাম কোনো সতর্কতা দেইনি তারা। ফলে বিস্তীর্ণ এলাকা ভাসিয়ে নিলেও বন্যা মোকাবিলায় বাংলাদেশ সামন্যটুকু প্রস্তুতি নেওয়ার সুযোগ পর্যন্ত পায়নি।
বন্যা কবলিত এলাকার মানুষগুলো এখন সহায়সম্বল হারিয়ে লাখ লাখ মানুষ এখন নিদারুণ অসহায় বলে উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, এমন পরিস্থিতিতে কোনো অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ করে এখন সময় ক্ষেপণেরও সময় নেই। বিএনপি বিশ্বাস করে বন্যাকবলিত মানুষের জীবন সম্পদ রক্ষা করাই এই মুহূর্তে প্রধান অগ্রাধিকার। দেশের বন্যা পরিস্থিতিতে আমি সারা দেশে বিশেষ করে যেসব এলাকা এখনো আক্রান্ত হয়নি, সেসব এলাকার বিএনপি এবং এর অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলতে চাই, আপনারা সমন্বিতভাবে বন্যা কবলিত মানুষের পাশে দাঁড়ান, সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিন। তাদের নিরাপত্তায় পাশে দাঁড়ান।