জাতীয় শোক দিবসে জেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের লাঠিচার্জের ঘটনায় বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগ। এ সময় বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহররম আলীর বিচার ও জেলা ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটিকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করা হয়।
মঙ্গলবার রাত ৮টায় বিক্ষোভ মিছিল শেষে পৌর সুপার মার্কেটের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশে জেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ মো. জাহাঙ্গীর কবির। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুও সে সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
জাহাঙ্গীর কবির বলেন, টাকার বিনিময়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ কোনো কাউন্সিল ছাড়া বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের কমিটি দিয়েছে। এ কমিটিকে জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ কেউ সহায়তা করবে না। এ কমিটি বাতিল করতে হবে। নতুন পদ পাওয়া সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি। নতুন কমিটিকে আমরা অবাঞ্ছিত ঘোষণা করলাম।
শোক দিবসে বরগুনায় ছাত্রলীগের সংঘর্ষ, অস্ত্র উদ্ধার
সমাবেশে সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু বলেন, শোক দিবসের দিন জেলা শিল্পকলা একাডেমি সামনের ঘটনা অত্যন্ত বেদনাদায়ক। আমাদের ছেলেদের কোনো দোষ ছিল না, তবুও নির্বিচারে পেটানো হয়েছে। অ্যাডিশনাল এসপি মহররম আলীর নেতৃত্বে পুলিশ এমন জঘন্য কাণ্ড ঘটিয়েছে। আমরা এ ঘটনায় জড়িতদের বিচার চাই এবং এ ঘটনায় যারা আহত হয়েছে তাদের চিকিৎসার সব খরচ বহন করবে জেলা আওয়ামী লীগ।
তিনি আরও বলেন, বরগুনার ইতিহাসে এবার জেলা ছাত্রলীগের সবচেয়ে নোংরা কমিটি হয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগের সঙ্গে কাউন্সিলিং না করে অযোগ্যদের দিয়ে কমিটি করা হয়েছে। আজ যোগ্যরা কমিটিতে থাকলে এত কিছু হতো না। আজ থেকে এই কমিটি বরগুনায় অবাঞ্ছিত করা হলো।
এর আগে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের দিন বরগুনায় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় পুলিশের একটি গাড়ি এবং মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এ সময় পুলিশের লাঠিচার্জে অর্ধশতাধিক ছাত্রলীগ নেতাকর্মী আহত হয়। উদ্ধার করা হয় দেশীয় অস্ত্র।