অদ্ভুত এক পিটিশনে বিপুল সাড়া পড়েছে ইউক্রেনে। সেই পিটিশনে বিদায়ী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে ইউক্রেনের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। শুধু তাই নয়, এর পাশাপাশি তাকে দেশটির প্রধানমন্ত্রী করার আবেদনও জানানো হয়।
নিজ দেশে জনসন অপ্রিয় পাত্র হলেও ইউক্রেনীয়দের কাছে তিনি জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব। কারণ রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ইউক্রেনের পক্ষে সরব থেকে সাহসী ভূমিকা রেখেছেন তিনি। খবর রয়টার্সের।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন শুরু হলে এর বিরুদ্ধে বিশ্বনেতাদের মধ্যে সবচেয়ে সরব ছিলেন জনসন। তিনি দৃঢ়ভাবে ইউক্রেনকে সমর্থন দিয়ে গেছেন। শুধু কথায় নয়; বরং অর্থ ও অস্ত্র সহায়তা দিয়ে তিনি ইউক্রেনের পাশে থেকেছেন।
যুদ্ধ শুরুর পর ইউক্রেনের মনোবল বাড়াতে দুবার ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভও সফর করেছেন। ফলে ইউক্রেনে দারুণ জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন জনসন। কিয়েভে তার পেইন্টিং এবং ম্যুরাল তৈরি করা হয়েছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির কাছে জনসনকে নিয়ে ওই পিটিশন করা হয়েছে। সেখানে জনসনের যেসব গুণের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে বরিস জনসনের জন্য বিশ্বব্যাপী সমর্থন, ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে তার স্পষ্ট অবস্থান এবং রাজনৈতিক, আর্থিক এবং আইনি ক্ষেত্রে তার প্রজ্ঞার কথা উল্লেখ করা হয়।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, এ পিটিশনের একটিই নেতিবাচক দিক আছে। ইউক্রেনের সংবিধানের সঙ্গে এ পিটিশন সাংঘর্ষিক। দেশটির সংবিধান অনুযায়ী এমন কোনো নিয়োগ সম্ভব না।
জনসনকে নিয়ে পিটিশন করার কয়েক ঘণ্টা পরই বরিস জনসন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকে তার অবিশ্বাস্য সাহস, প্রতিরোধের ইচ্ছা এবং আত্মমর্যাদার জন্য ‘স্যার উইন্সটন চার্চিল লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড’ দেন। অনলাইনে ওই পুরস্কার নেওয়ার সময় অবশ্য জেলেনস্কি পিটিশনের বিষয়ে কিছু বলেননি। তবে পিটিশনটির পক্ষে যদি ২৫ হাজার মানুষের সই পড়ে, তবে তিনি তার জবাব দিতে বাধ্য।
উল্লেখ্য, ইউক্রেনের অফিসিয়াল পিটিশন সাইটে গত মঙ্গলবার এই পিটিশন স্থাপন করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তাতে সই করেছে আড়াই হাজারের বেশি মানুষ।