যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষ মনে করে একমাত্র আওয়ামী লীগই পারে দেশের মানুষের ভাগ্য পরবর্তন করতে। ভোটের মাধ্যমে মানুষ সেই আস্থার প্রতিদান দেবে বলেই আমি বিশ্বাস করি।
বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া, ওয়াশিংটন, মেরিল্যান্ড স্টেট আওয়ামী লীগের যৌথ মতবিনিময় সভায় একথা বলেন তিনি।
এ সময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকল ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের জন্য সকলের কাছে সমর্থন ও সহযোগিতা চেয়েছেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে অল্প সময়ের মাঝে জাতির পিতা স্বল্পোন্নত দেশে পরিণত করেছিলেন। সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে আজকের আওয়ামী লীগ সরকার ৪০ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য ঘাটতি পূরণ করে দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছে। বাংলাদেশের উন্নয়নের এই ধারাকে সাসটেইনেবল করার জন্য আওয়ামী লীগ সরকারের বিকল্প নেই।
তিনি আরও বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে আমরা এখন স্মার্ট বাংলাদেশে যাওয়ার প্রস্তুতি শুরু করেছি। সেজন্য কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমরা নির্বাচনী ইশতেহার প্রস্তুত করছি, আগামীতে আমাদের বাংলাদেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ। স্মার্ট গভর্নমেন্ট, স্মার্ট ইকোনোমি, স্মার্ট সোসাইটি এবং স্মার্ট সিটিজেনের সমন্বয়ে গড়ে উঠবে স্মার্ট বাংলাদেশ। কেউ বাংলাদেশের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে পারবেনা।
আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে এবং আওয়ামী লীগ সরকারই বাংলাদেশকে একটা জায়গায় দাঁড় করিয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, সামনের নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে বাংলাদেশের মানুষের ওপর আস্থা আছে, বিশ্বাস আছে। তারা মনে করে একমাত্র আওয়ামী লীগই পারে দেশের মানুষের ভাগ্য পরবর্তন করতে। ভোটের মাধ্যমে মানুষ সেই আস্থার প্রতিদান দেবে বলেই আমি বিশ্বাস করি।
সভার সঞ্চালনা করেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ। এসময় ভার্জেনিয়া আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন মেরিল্যান্ড স্টেট আওয়ামী লীগ, মেট্রো ওয়াশিংটন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, মহিলা লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।