বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ভারতের যে অবস্থান, তা তাদের নিজস্ব ব্যাপার বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের স্ট্র্যাটেজিক কমিউনিকেশন পরিচালক অ্যাডমিরাল জন কিরবি।
তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র এরইমধ্যে অবস্থান খুব সুস্পষ্ট করেছে, আর ভারতের অবস্থান তাদের নিজস্ব।
মঙ্গলবার (২০ জুন) ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির যুক্তরাষ্ট্রে রাষ্ট্রীয় সফর সামনে রেখে স্টেট ডিপার্টমেন্টের ফরেন প্রেস সেন্টারে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
জন কিরবিকে প্রশ্ন করা হয়, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির যুক্তরাষ্ট্র সফরকালে দক্ষিণ এশিয়ায় গণতন্ত্রের স্থিতিশীলতা এবং মানবাধিকার পরিস্থিতির মতো বিষয় আলোচনায় গুরুত্ব পাবে কি না। বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি যে ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে, বিশ্বের বৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে ভারত যুক্তরাষ্ট্রের এই উদ্যোগের পাশে থাকবে কি না।
এই প্রশ্নের উত্তরে জন কিরবি বলেন, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বিশ্বের যেখানেই যান, যে নেতাদের সঙ্গেই কথা বলেন, সেখানে মানবাধিকার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা তার খুব সাধারণ বিষয় এবং সামঞ্জস্যপূর্ণ। মানবাধিকার এই প্রশাসনের বৈদেশিক নীতির একটি মৌলিক উপাদান এবং আপনি অবশ্যই আশা করতে পারেন যে, প্রেসিডেন্ট যেমন সবসময় করেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির মতো বন্ধু এবং অংশীদারের সঙ্গেও এটা করতে পারেন।
আর বাংলাদেশের বিষয়ে আমি মনে করি, ভারত সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে তার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের কথা বলতেই পারে। আমরা ইতিমধ্যেই বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আমাদের আকাঙ্ক্ষা স্পষ্ট করে দিয়েছি। আমাদের ভিসা নীতিকে এমন ব্যক্তিদের ভ্রমণ সীমিত করার জন্য উদ্যোগ নিয়েছি, যারা বাংলাদেশের নির্বাচনকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। তাই আমি শুধু আমাদের কথাই বলতে পারি। আর আপনি জানেন যে, আমাদের অবস্থান কোথায়। আমাদের অবস্থান খুব স্পষ্ট। তবে ভারত সরকার তাদের দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করতেই পারে।