বাংলাদেশের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ২৪ বিলিয়ন ইউরো বাণিজ্য আছে। বাংলাদেশে ইউরোপীয় বিনিয়োগ ও বাণিজ্য আরও বাড়াতে চাই বলে জানিয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হুইটলি।
সোমবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে সচিবালয়ের অর্থমন্ত্রণালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন ইইউর রাষ্ট্রদূত চার্লস হুইটলি।
ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেন, বিভিন্ন ইস্যুতে আমাদের মধ্যে অনেক গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। এটা ছিল সৌজন্য সাক্ষাৎ। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে বাংলাদেশের সহযোগিতা নিয়ে আমাদের মধ্যে কথা হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্ভাবনা নিয়েও আলোচনা করেছি।
সামাজিক সুরক্ষাসহ বিভিন্ন ইস্যুতে বাংলাদেশে কাজ করছি আমরা। সে সব ক্ষেত্রে বাজেট সহায়তা নিয়েও কথা বলেছি। বাণিজ্য ও ব্যবসার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৪ বিলিয়ন ইউরোর বিনিয়োগ আছে। বাংলাদেশে ইউরোপীয় বিনিয়োগ ও বাণিজ্য সম্প্রসারণে আমরা খুবই আগ্রহী। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ব্যাপক সম্ভাবনা আছে। এ নিয়ে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই তার পরিকল্পনা জানতে পেরে আমরা বেশ আশাবাদী। কাজেই বাংলাদেশের সহায়তা অংশীদার হিসেবে কাজ করার বিষয়ে আমরা প্রত্যাশা বেড়েছে।
২০২৬ সালের পরিকল্পনা নিয়ে কোনো কথা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে হুইটলি বলেন, স্বল্পোন্নত (এলডিসি) দেশ থেকে বাংলাদেশের উত্তরণ সহজ হোক, আমরা সেটিই চাচ্ছি। আমরাও এ বিষয়ে জোর দিচ্ছি। কারণ এটি বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। অবশ্যই জিএসপি প্লাসে সহজ রূপান্তর চাচ্ছি। এটাই আমাদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে বড়ো ভিত্তি। ২০২৬ সালের প্রক্রিয়ার জন্যই এটা গুরুত্বপূর্ণ। কাজেই ইউরোপীয় চেম্বারস অব কমার্সের মাধ্যমে বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়াতে কীভাবে সহায়তা করতে পারি, সেদিকেই আমরা বেশি আলোকপাত করছি।
শ্রম অধিকার ও মানবাধিকার নিয়ে কথা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, না, শ্রম অধিকার ও মানবাধিকার নিয়ে কোনো কথা হয়নি।